সরকারের মূল্যবান সম্পদ চিনিশিল্পকে বাঁচাতে কর্মকর্তাদের দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে

 

দর্শনা অফিস: ২০১৫-১৬ রোপণ মরসুমের আখচাষ উন্নয়ন ও ঋণ বিতরণ কর্মকান্ডের মূল্যায়ন এবং ২০১৬-১৭ মরসুমে আখ রোপণ কর্মসূচি প্রণয়নের নিমিত্তে দেশের সবকটি চিনিকলের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করছেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম দেলোয়ার হোসাইন। এরই মধ্যে ঠাকুরগাও চিনিকলে বৈঠক সম্পন্ন করা হয়েছে। ধারবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত এ দু দিনব্যাপি বৈঠক গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কার্যালয়ে উদ্বোধন করেছেন চেয়ারম্যান একেএম দেলোয়ার হোসেন। কেরুজ চিনিকলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নিয়েছেন কুষ্টিয়া, মোবারকগঞ্জ, ফরিদুপর ও কেরুজ চিনিকলের কর্মকর্তারা। গত ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাও চিনিকলের বৈঠকে অংশ নেন, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাও, সেতাবগঞ্জ, শ্যামপুর ও রংপুর চিনিকলের কর্মকর্তারা। আগামী ১৩ মে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে নর্থ বেঙ্গল চিনিকলের বৈঠকে অংশ নেবেন, জয়পুরহাট, রাজশাহী, নাটোর, নর্থবেঙ্গল ও পাবনা চিনিকলের কর্মকর্তারা। কেরুজ চিনিকলে অনুষ্ঠিত দিনভর বৈঠকে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম দেলোয়ার হোসাইন বলেন, আমাদের একটি কথা মনে রাখতে হবে, কৃষি প্রধান দেশে চাষিরাই সেদেশের প্রাণ। যুগযুগ ধরে চাষিকূল আমাদের অর্থনৈতিক বুনিয়াদকে সমৃদ্ধ করেছে। কৃষিবান্ধব এ সরকার কৃষকের সকল সুবিধা নিশ্চিত করতে হাতে নিয়েছে বিভিন্ন কর্মসুচি। তেমনি ভাবে দেশের চিনিশিল্পকে বাচাতে হলে চাষি ভাইদের এগিয়ে আসতে হবে সবার আগে। সেক্ষেত্রে বেশি বেশি করে আখ চাষের মধ্য দিয়েই সম্ভব দেশের এ মূল্যবান সম্পদ চিনিশিল্পকে রক্ষা করা। কৃষকদের পাশাপাশি মিলের কর্মকর্তাদের আন্তরিক হতে হবে। কৃষকদের সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে রাখতে হবে খেয়াল। চিনিকলের অতীত ঐতিহ্য ফিরতে শুরু করেছে। এ ঐতিহ্য ধরে রাখার দায়িত্ব মিলের কর্মকর্তাদের। আপনাদের কর্মদক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা, দুরদর্শিতা ও প্রশাসনিক দৃষ্টি ভঙ্গির মধ্যদিয়েই এগিয়ে নিতে হবে এ শিল্পকে। বর্তমান সরকার দেশের মৃত ও রুগ্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলো পুনরুদ্ধার করে তা সচল করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তাই আসুন সকল অনিয়ম, দূর্নিতীকে মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে একটি শিল্প সমৃদ্ধশীল গড়তে সকলেই আন্তরিক হই। কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চীফ টিএস কামরুজ্জামান মিয়া, চিফ সিপিই আ. রাজ্জাক, ফরিদুপর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আ. রউফ খান, মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন, কুষ্টিয়া চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান। কেরুজ চিনিকলের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন- মোশরাফ হোসেন, নওশেরুজ্জামান, আনোয়ার কবির, এসএম আলাউদ্দিন, আনোয়ারুল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ শাহবুদ্দিন, সাজ্জাদ আলী খান, এসএম আ. বারী, আ. রাজ্জাক, আ. বারী, উত্তম কুমার কুন্ডু প্রমুখ। এছাড়া দেশের ৪টি চিনিকলের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।