ঝিনাইদহে ইউপি নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রশিদুল আটক

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেএম রশিদুল আলমকে পুলিশ আটকে করেছে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে থানায় ডেকে এনে আটকে রাখা হয়। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান জানান, ওপরের নির্দেশে জেএম রশিদুল আলমকে থানায় ডেকে আনা হয়েছে। পুলিশ সুপার থানায় এলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

ঝিনাইদহ সদর থানায় আটক আওয়ামী লীগ নেতা জেএম রশিদুল আলম জানান, নির্বাচন নিয়ে পরামর্শ করার জন্য তাকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। সে মোতাবেক আমি দুপুর ১২টা থেকেই থানায় এসে বসে আছি। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, জেএম রশিদুল আলমের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। নির্বাচনের ডিউটি বণ্টন নিয়ে আমরা খুব ব্যস্ত আছি। পরে বিষয়টি জানানো হবে। এদিকে জেএম রশিদুল আলমকে থানায় আটকে রাখার খবর পেয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় ছুটে আসেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আজিজুর রহমান, জেলা আ.লীগের সহসভাপতি অ্যাড. আব্দুর রশিদ, সহসভাপতি আব্দুল খালেক ও সংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম ফোটনসহ অর্ধশত নেতাকর্মী। থানা চত্বরে অপেক্ষমান আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করেন, জেএম রশিদুল আলমকে থানায় ডেকে এনে গারদে আটকে রাখা হয়। পরে আমরা অনুরোধ করে ওসি তদন্তের রুমে বসানোর ব্যবস্থা করি।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আজিজুর রহমান জানান, আলাপ আলোচনার জন্য রশিদকে থানায় ডেকে আনা হয়েছে। তিনি জানান, পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত আছেন। তিনি এলেই আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে রশিদকে নিয়ে যাবো।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান টিপুকে জানিয়েছেন, জেএম রশিদুল আলম অহরহ নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন। তাকে বার বার থানায় আসতে বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি থানায় আসেননি। শুক্রবার দুপুরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও সতর্ক করার জন্য থানায় ডেনে আনা হয়েছে। আমরা নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত আছি। তার ব্যাপারে শুক্রবার সন্ধ্যায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা রশিদকে আটকে রাখার বিষয়টি যারা দলীয় প্রভাব বিস্তার করে নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করছে, তাদের জন্য একটি বার্তা মাত্র।