শ্বাসরোধ করে হত্যা : লাশের পরিচয় মেলেনি

 

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের নেহালপুরের বোয়ালিয়ার মাঠে রাস্তার পাশ থেকে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে স্থানীয়রা মৃতদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়। দুপুরে সদর থানা পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালমর্গে নেয়।

মুখ ভর্তি কাঁচা কালো দাঁড়ি। দাঁড়ির চেয়ে গোফ একটু বড়। গায়ে বিস্কুট কালারের ফুলহাতা শার্ট। গলায় কালো সুতো পেচিয়ে বাধা তাবিজ। মাথার চুলও কালো। বয়স? আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০ বছর। মৃতদেহের পাশেই রক্তের দাঁগ। লাশ দেখে এলাকার কেউই শনাক্ত করতে পারেনি। ফলে গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃতদেহর পরিচয় মেলেনি। পুলিশের ধারণা, কয়েকদিন আগে অপহরণের পর হত্যা করে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের নেহালপুর বোয়ারিয়া মাঠে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখা হয়ে থাকতে পারে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, গতকাল বুধবার ভোরে কৃষকরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া ভিটেখোলা মাঠের ভুটু মিয়ার জমিতে মধ্যবয়সী অজ্ঞাত ব্যাক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে চমকে উঠে। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার সদর থানার ওসি (তদন্ত) কামরুজ্জামান দুপুর ১২টার দিকে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে উদ্ধার করে লাশ। দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন গ্রামের হাজারো মানুষ লাশ দেখেও কেউ শনাক্ত করতে পারেনি। ওসি কামরুজ্জামানসহ স্থানীয় অনেকেই হত্যাকাণ্ড বলে মন্তব্য করে বলেছেন, ৩/৪ দিন আগে হত্যা করা হলেও আজ কালের মধ্যে লাশ ফেলা রেখে যায় হত্যাকারিরা। মধ্যবয়সী অর্ধগলতি লাশের পরণে ছিলো লুঙ্গি, বিস্কুট বা খাকি রঙয়ের শার্ট। শ্যামলা বরণ এ লাশের মুখে রয়েছে কালো চাপদাড়ি।

এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক বলেন, ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে, সঠিক। তবে কীভাবে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই সব বোঝা যাবে। তার আগে পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। আজ বৃহস্পতিবার পরিচয় না পেলে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হবে।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে একই মাঠ থেকে মেহেরপুর গাংনী এলাকার এক আলমসাধু চালককে মৃতপ্রায় অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও একই মাঠ থেকে লাশও উদ্ধার করা হয়।