বিশ্ব টুকিটাকি : সত্যিকারের ‌‌‌‌‘অরো’র মৃত্যু!

Bottom of Form

পৃথিবীসদৃশ তিন গ্রহের সন্ধান

মাথাভাঙ্গা মনিটর: পৃথিবী থেকে ৪০ আলোকবর্ষ দূরে অত্যন্ত শীতল একটি বামন নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকা পৃথিবীসদৃশ তিনটি গ্রহের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছেন গবেষকেরা। সম্প্রতি ‘নেচার’ সাময়িকীতে এই গবেষণা-বিষয়ক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। অত্যন্ত শীতল ওই নক্ষত্রের নাম ট্রাপিস্ট-১। এ ধরনের কোনো নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে কোনো গ্রহ থাকার বিষয়টি গবেষকেদের বিস্মিত করেছে। তারা বলছেন, একটি নক্ষত্র হতে গেলে যে বৈশিষ্ট্য থাকতে হয়, এর খুব সামান্যই আছে ওই নক্ষত্রের মধ্যে। নক্ষত্রটির তাপমাত্রা সূর্যের অর্ধেক আর ভরের দিক থেকেও সূর্যের ১০ ভাগের ১ ভাগ। এর রং লাল। এটি বৃহস্পতি গ্রহের প্রায় সমান। পৃথিবী থেকে খালি চোখে কিংবা সাধারণ টেলিস্কোপ ব্যবহার করে দেখা প্রায় অসম্ভব। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিসের গবেষকেরা ট্রাপিস্ট নামের টেলিস্কোপ ব্যবহার করে ওই নক্ষত্র ও গ্রহগুলো পর্যবেক্ষণ করেন। গবেষকেরা বলেন, ছোট ছোট এই নক্ষত্র ও কিছু বাদামি বামন নক্ষত্র দীর্ঘদিন টিকে থাকে। আমাদের মিল্কি ওয়ে ছায়াপথে এ ধরনের অনেক নক্ষত্র দেখা যায়।
গবেষকেরা বলছেন, নক্ষত্রটিকে ঘিরে যে গ্রহগুলো আছে, তা যে পরিমাণ তেজস্ক্রিয়তা গ্রহণ করে, তা সূর্য থেকে পৃথিবী যে পরিমাণ তেজস্ক্রিয়তা গ্রহণ করে তার চার গুণ। অর্থাৎ, এসব গ্রহ ‘হ্যাবিটেবল জোন’ এর মধ্যে পড়ে। হ্যাবিটেবল জোন হচ্ছে, কোনো গ্রহ যে নক্ষত্রকে কেন্দ্র করে ঘুরতে থাকে, তা থেকে গ্রহের দূরত্ব, তাপমাত্রা, পানি থাকার সম্ভাবনা বা প্রাণের উদ্ভব ঘটার সম্ভাব্য অঞ্চল।

ক্ষুধা নিবারণে খাবার চুরি করা অপরাধ নয় বলে রায় দিয়েছে ইতালির আদালত

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ক্ষুধা নিবারণ করতে অল্প পরিমাণ খাবার চুরি করা অপরাধ নয় বলে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে ইতালির সর্বোচ্চ আদালত। দেশটিতে রোমান অস্ত্রিয়াকভ নামের এক ব্যক্তির চুরির মামলায় এই রায় দেয়া হয়েছে। সুপারমার্কেট থেকে সাড়ে চার ডলার মূল্যের চিজ ও সসেজ চুরির অভিযোগ আনা হয়েছিলো অস্ত্রিয়াকভের বিরুদ্ধে। শুনানির পর দেশটির সর্বোচ্চ আদালত রোমান অস্ত্রিয়াকভকে নির্দোষ ঘোষণা করে। বিচারকরা রায়ে বলেন, নিজের জরুরি প্রয়োজনে তিনি খাবার চুরি করেছিলেন। এই কারণেই এটা কোন অপরাধ নয়। ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত অস্ত্রিয়াকভ একজন গৃহহীন ব্যক্তি। ঘটনাটি ২০১১ সালের। অস্ত্রিয়াকভ দুই টুকরা চিজ ও এক প্যাকেট সসেজ পকেটে লুকিয়ে রেখে শুধুমাত্র রুটির দাম পরিশোধ করে সুপারমার্কেট থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেন। অপর একজন ক্রেতা এই ঘটনাটি নিরাপত্তা কর্মীদের জানিয়ে দেন।

চীনে ৩১ আঙুলের শিশু!

মাথাভাঙ্গা মনিটর: হাতে-পায়ে মোট ২০টি আঙুল থাকে কথাটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও আছে। বংশানুক্রমিকভাবেই কারো হাতে ২২টি বা ২৩টি আঙুল থাকার নজিরও বিরল নয়। কিন্তু ৩১টি আঙুল! চীনের হুনান প্রদেশের এক দম্পতির একমাত্র ছেলে জন্মেছে ৩১ আঙুল নিয়ে। ডেইলি মেইল সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির বয়স এখন তিন মাস। আর তিন মাসের শিশুটির দুই হাতেই আছে ১৫টি করে আঙুল। পায়ে আরো ১৬। সব মিলিয়ে ৩১ আঙুলের অধিকারী সে। যদিও প্রি-ন্যাটাল স্ক্যানে এমন কোনো অস্বাভাবিকতার আভাস ছিল না বলে জানিয়েছন শিশুটির মা-বাবা। যে কারণে সন্তানের জন্মের পর বিস্ময়ের মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে যায় চীনা দম্পতির। এদিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বাড়তি আঙুলগুলো সরিয়ে দেবেন তারা। শিশুটির মা-বাবারও চাওয়া সেটিই। তারা মনে করছেন, এই বাড়তি আঙুলগুলো সন্তানের জন্য অভিশাপ বয়ে আসবে। তাই যতো দ্রুত সম্ভব ছেলের হাতের আঙুল সরিয়ে ছেলেকে স্বাভাবিক জীবন দিতে চান তারা।

সত্যিকারের ‌‌‌‌‘অরো’র মৃত্যু!

মাথাভাঙ্গা মনিটর: বলিউডের ‘পা’ ছবির ‘অরো’ চরিত্রটির কথা অনেকের মনে আছে নিশ্চয়। অমিতাভ বচ্চন অভিনয় করেছিলেন ১৪ বছর বয়সী এক ছেলের চরিত্রে, যাকে কি-না বয়সের চেয়ে খুব দ্রুত বার্ধক্য ঘিরে ধরেছে। সেই চরিত্রটিরই বাস্তবরূপ দেখা গিয়েছিলো নিহাল বিটলার মধ্যে। কিছুদিন আগে বাস্তবের এই ‘অরো’ আমির খানের সাথে দেখা করে উঠে এসেছিলেন খবরের শিরোনামেও। অবশেষে সেই ছেলেটি মাত্র ১৪ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলো। মাত্র এক বছর বয়স থেকে নিহাল আক্রান্ত হয় প্রোগেরিয়া রোগে। এই রোগে মানবদেহ বয়সের চেয়ে দ্রুত বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। বার্ধক্যের সমস্যাগুলোতে অল্প বয়সেই আক্রান্ত হতে শুরু করে।
গত সোমবার রাতে নিহাল তার জন্মস্থান ভারতের তেলেঙ্গানার করিম নগরে মারা যায়। দীর্ঘদিন ধরে সে বাতের সমস্যায় ভুগছিলো। সোমবার দুপুরে এক আত্মীয়ের বিয়েতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে নিহাল।

হৃতিক প্রসঙ্গে সুজানের স্পষ্ট বার্তা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কঙ্গনা রনৌতকে নিয়ে হৃতিকের বিবাদ যখন চরমে, যে সময়টাতে পাশে একজন বন্ধুর উপস্থিতি খুব প্রয়োজন ছিলো হৃতিকের, ঠিক তখনই এই অভিনেতার সাবেক স্ত্রী সুজানে খান ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মতোই পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন তার। হৃতিকের পক্ষ নিয়ে কথাও বলেছেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। আর এর পরপরই অনেকের ধারণা জন্মেছিলো যে তাহলে বোধ হয় জোড়া লাগতে যাচ্ছে হৃতিক-সুজানের সংসার। কিন্তু এ ধারণায় সোজা কথায় জল ঢেলে দিয়েছেন সুজানে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, হৃতিকের সাথে তার সম্পর্কটি আর কখনোই জোড়া লাগবে না। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের খুদে ব্লগ লেখার সাইট টুইটারে এ বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন সুজানে। এক টুইট বার্তায় সুজানে লিখেছেন, ‘আমি সবাইকে অনুরোধ করছি এমনটি আর না ভাবার জন্য। হৃতিকের সাথে আমার সম্পর্কটি আর কখনোই জোড়া লাগবে না।’