পুলিশের বিভাগীয় কমিশনারের ছেলে পরিচয়ে প্রতারণা
দর্শনা অফিস: প্রায় ৩ মাস ধরে পুলিশের বিভাগীয় কর্মকর্তার ছেলে ও নিজেকে গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় পেতেছে প্রতারণার ফাঁদ। আবাসিক হোটেল ভাড়া দিতে না পেরে সে ফাঁদেই আটকে গেলো কেরানিগঞ্জের ফয়সাল নামের এক প্রতারক। পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত প্রতারক ফয়সালকে। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে মামলা।
জানা গেছে, ঢাকা কেরানিগঞ্জ উপজেলার রুহিতপুর ইউনিয়নের বালুয়াটেক গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ছেলে ফয়সাল মাস তিনেক আগে চুয়াডাঙ্গায় অবস্থান নেয়। চুয়াডাঙ্গার আবাসিক হোটেল হাসুয়া কটেজে কক্ষ ভাড়া নেয়। হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেকে পুলিশের বিভাগীয় কমিশনারের ছেলে ও নিজে গোয়েন্দা পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা পরিচয় দেয়। এভাবেই ৭১ দিন ওই হোটেলে থেকে যখন ভাড়া দিতে না পারে ২০ দিন আগে সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে এসে ঠাই নেয় দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের এসএল আবাসিক হোটেলে। অভিযোগ উঠেছে, ফয়সাল চুয়াডাঙ্গায় প্রবেশের পর থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাতে প্রতারণার ফাঁদ। এরই মধ্যে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ও মেম্বারকে নির্বাচনে জিতিয়ে দেয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছে। তবে ফয়সালের এ ফাঁদে পা দেয়নি কোনো প্রার্থী। এ দিকে হাসুয়া কটেজ কর্তৃপক্ষ ফয়সালের কাছে হোটেল ভাড়া বাবদ ১৮ হাজার টাকা পাওনা করে। ফলে খুঁজতে থাকে প্রতারক ফয়সালকে। ফয়সালের সন্ধান পেয়ে দর্শনা পুলিশকে খবর দেয়া হলে এসএল আবাসিক হোটেল থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এসএস হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকেও শোনা গেছে একই অভিযোগ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ফয়সালের ভুয়া পরিচয় ফাঁস হয়ে গেছে। এ ঘটনায় এসএল হোটেলের ম্যানেজার ওমর ফারুক সুমন বাদি হয়ে প্রতারক ফয়সালের বিরুদ্ধে দামুড়হুদা থানায় দায়ের করেছেন মামলা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দর্শনা আইসি ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।