গাংনীর ষোলটাকা ইউপিতে মাইক ভাঙচুর : কাজিপুর ইউপিতে দুজন আহত

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীতে ইউপি নির্বাচনে ষোলটাকা ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির প্রচার মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে। অপরদিকে কাজিপুর ইউপিতে দুপক্ষের সংঘর্ষে মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও দুজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ষোলটাকা ইউপির বিএনপি প্রার্থী মনিরুজ্জামান মনির প্রচার মাইক মানিকদিয়া গ্রামে নির্বাচনী প্রচার করছিলো। মানিকদিয়া বড় মসজিদের কাছে পৌঁছুলে আওয়ামী লীগ সমর্থীত কয়েক যুবক মাইক ভাঙচুর করে। এ সময় ভ্যানসহ মাইক ফেলে পালিয়ে যায় ভ্যানচালক রুয়েরকান্দি গ্রামের সিপন। ধানের শীষের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে হামলাকারী যুবকরা নানাভাবে হুমিকি দেয় বলে অভিযোগ মনিরুজ্জামানের। এ ঘটনায় তিনি রিটার্নিং অফিসারকে মোবাইলফোনে অভিযোগ করেছেন। প্রচার-প্রচারণায় বাধা ও তার কর্মীদের ভোট কেন্দ্রে না যেতে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মনি।

এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় কাজিপুর ইউপি বিএনপি চেয়ারম্যান প্রার্থী রাহাতুল্লাহ কয়েকটি মোটরসাইকেলযোগে প্রচারণার সময় নতুন ব্রজপুর নামক স্থানে হামলার শিকার হন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু নাতেকের কর্মীরা তার কয়েকটি মোটরসাইকেলে ভাঙচুর চালায়। এ সময় রাহাতুল্লাহার লোকজন পাল্টা প্রতিরোধ করলে আবু নাতেকের কর্মী হাড়াভাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রশিদ আহত হন। মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন রশিদ। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। হামলার আহত হলে রশিদের বড় ভাই রুহুল আমিন তাকে শাসন করছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রশিদের লোকজন রুহুল আমিনকে মারধর করলে তিনি আহত হন। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থক হচ্ছেন রশিদ এবং তার ভাই রুহুল আমিন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আলিমের সমর্থক। তারা আপন সহোদর হলেও ভোটের মাঠে একে অপরের প্রতিপক্ষ।

এদিকে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেখানে ফোর্স নিয়ে পৌঁছান গাংনী থানার এসআই নাছির উদ্দীন। তিনি দুপক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে সংঘর্ষ থেকে নিবৃত্ত করেন। তবে হামলায় আহতের ঘটনায় আবু নাতেকের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তার ঘনিষ্টজনরা। বর্তমানে সেখানে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে বলে জানান গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন।

Leave a comment