গাংনীতে ট্রাকের ধাক্কায় আলগামনের চালকসহ তিনজন আহত

 

গাংনী প্রতীনিধি: জামিল উদ্দীন নামে ১৩ বছর বয়সী এক আলগামন চালকের পা ভেঙে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। গত রোববার রাতে মেহেরপুরের গাংনীর বামন্দী বাজার থেকে আলগামনে যাত্রী নিয়ে গাংনী আসার সময় চোখতোলা নামক স্থানে ট্রাকের ধাক্কায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আলগামন যাত্রী কাষ্টদহ গ্রামের মাছব্যবসায়ী হাসান আলী (৪৮) ও ইসরাফ আলী (৫৫)। ‌গুরুতর আহত আলগামন চালককে গাংনী থেকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। সে কাষ্টদহ গ্রামের আব্বাস আলীর ছেলে।

আহতরা জানান, বামন্দী বাজার থেকে মাছ বিক্রি করতে করতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। কিছু মাছ অবিক্রিত থাকায় তারা গাংনী শহরে গিয়ে বিক্রির উদ্দেশে জামিলের আলগামনে ওঠে। দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে চোখতোলা নামক স্থানে পৌঁছুলে বিপরিত দিক থেকে আসা দ্রুত গতির একটি ট্রাকের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে দ্রুত জামিলকে কুষ্টিয়ায় রেফার করা হয়।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তানভির আহম্মেদ জানান, জামিলের ডান পা হাটুর নিচ থেকে ভেঙে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। উন্নয়ন চিকিৎস না করাতে পারলে পঙ্গুত্ব বরণ করার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে ওই দুর্ঘটনায় আহতরদের দেখতে হাসপাতালে গিয়ে নানা প্রতীক্রিয়া ব্যক্ত করেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, অপ্রাপ্ত বয়সের অনেকেই হয়তোবা পেটের তাগিদে এরকম ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন চালাচ্ছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চলাচল করার উপযোগী বুদ্ধি বিবেচনা কিংবা বয়স হয়েছে কি-না সেটি ভেবে দেখার দাবি রাখে। তাছাড়াও নিয়ন্ত্রণহীনভাবে দ্রুত গতিতে যানবাহন চালানোর জন্য প্রায়ই ঘটছে এরকম অনাকাঙ্খিত নানান দুর্ঘটনা। জীবনহানির পাশাপাশি প্রতীদিনই বাড়ছে পঙ্গুত্বের সংখ্যা। তাই এসব যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে বন্ধের নিষেধাজ্ঞা কিংবা নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন কি-না? এপ্রশ্ন এখন সচেতন মানুষের মুখে মুখে।