প্রথম স্বামীর দেয়া তিন কাঠা জমি দ্বিতীয় স্বামীকে লিখে না দেয়ায় গলায় শাড়ি পেচিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রথম স্বামীর নিকট থেকে পাওয়া তিন কাঠা জমি বর্তমান তথা দ্বিতীয় স্বামীর নামে লিখে না দেয়ায় বাটামপেটা করার পাশাপাশি গলায় শাড়ি পেচিয়ে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে। নির্যাতনের শিকার ফাতেমা খাতুনের এ নালিশসহ আইনগত সহায়তার আবেদন পেয়ে অভিযোগের সত্যতা জানতে মানবতা সংস্থার নেতৃবৃন্দ গতকাল শনিবার সরেজমিন তথা দামুড়হুদা গোবিন্দহুদার মিজানুরের বাড়ি পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে ফিরে মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার বলেছেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ফলে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

মানবতা ফাউন্ডেশন এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গোবিন্দহুদার ইজারুলের স্ত্রী ছিলেন ফাতেমা খাতুন। তাকে ফুঁসলিয়ে ইজারুলেরই চাচাতো ভাই মিজানুর বিয়ে করে। ফাতেমা প্রথম স্বামী সংসার ছেড়ে দ্বিতীয় স্বামী সতীনের সংসারে উঠলে সমালোচনার মধ্যে পড়লেও দ্বিতীয় স্বামীর সংসারে সুখ খুঁজতে থাকেন। বিধি বাম। বিয়ের কিছুদিনের মাথায় শুরু হয় নির্যাতন। গত ২৭ এপ্রিল রড বাটাম দিয়ে ফাতেমাকে নির্মমভাবে মারপিট করে। গলায় শাড়ি পেচিয়ে হত্যাচেষ্টা চালায়। প্রথম স্বামীর দেয়া তিন কাঠা জমি তার নামে লিখে না দেয়ার কারণেই নির্যাতন করে বলে ফাতেমার (৪০) অভিযোগ। গতকাল মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকার, ফাউন্ডেশনের অবজারভেশন অফিসার অ্যাড. কাইজার হোসেন জোয়ার্দ্দার, অপারেশন অফিসার অ্যাড. জিল্লুর রহমান, মোটিভেশন কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা মুমুর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।