দেশজুড়ে রাজনৈতিক হানাহানি ও হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করে আলমডাঙ্গার থেকে বিশ্ব শান্তির ডাক

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরোঃ বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক হানাহানি ও স্বার্থপরতায় ডুবে মানুষ যখন নিজের বিবেক ও মনুষত্ব বিসর্জন দিয়ে প্রতিনিয়ত বিপথগামী হচ্ছে, ঠিক তখনই আলমডাঙ্গার প্রত্যন্ত গ্রাম মাদারহুদা থেকে ‍‍‍‍‍‍‍‍‍‘বিশ্বের ঐতিহাসিক শান্তি আলোচনার ডাক দিলেন বিশ্বব্রম্মান্ড ঘুরে দেখা মঈনুদ্দিন আল মামুন। গত বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাপক আয়োজনের মাধ্যমে ব্যতিক্রমী এই আয়োজনে শান্তির ডাক দেন তিনি। এ সময় গভীর রাত পর্যন্ত মাদারহুদা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ কৌতূহলী দর্শক-শ্রোতায় ভরে থাকে।

আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদুল ইসলাম স্বপনের সভাপতিত্বে ‘বিশ্বের ঐতিহাসিক শান্তি আলোচনা’ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন সমগ্র রাশিয়া-চীন-ভারত, বেলারুশ, পোল্যান্ড, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, কাতারসহ পৃথিবীর বহু দেশ ঘুরে দেখা মঈনুদ্দীন আল মামুন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ আজ হিংসা-বিদ্বেষে ভরে গেছে। ভাইয়ে-ভাইয়ে হানাহানিতে জীবন দিচ্ছে ভাই। এই হিংসা-বিদ্বেষ ইসলাম স্বীকার করে না। ইসলাম হচ্ছে পরম শান্তির ধর্ম। ইসলামের ভেতরে একটি গোষ্ঠিকে দাঁড় করিয়ে বিশ্ব মাতব্বররা আমাদের দেশটাকে শেষ করে দেয়ার অপরাজনীতি করছে। আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। আমাদের দেশকে নিয়ে বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের খেলা খেলতে দেয়া হবে না। তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে যে কেউ স্বাধীনভাবে চলতে পারবে, মত প্রকাশ করতে পারবে। যার যার ইচ্ছামতো রাজনৈতিক দলকে সাপোর্ট করতে পারবে। কিন্ত বড়ই পরিতাপের বিষয় আমাদের রাজনৈতিক নেতারা এইটা কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করেন। যা গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে। এই কাদা ছোড়াছুড়িই এখন একে-অপরের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষে রূপ নিয়েছে। তিনি কলুষিত এই রাজনৈতিক ও সমাজ ব্যবস্থা থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাজনীতিবিদ ও সমাজপতিদের কাছে।

আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগ নেতা সোহেল রানা শাহীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সোহেল তানভীর হিরো। সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম স্বপনের বক্তব্যের পরপরই প্রধান আলোচক মঈনুদ্দিন আল মামুন আলোচনা শুরু করেন। বিশ্বের ঐতিহাসিক শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে পুরো মাদারহুদা গ্রাম বৈদ্যুতিক আলোয় আলোকিত করে তোলা হয়। পুরো গ্রামে আলোচনাসভা মাইকের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।