চুয়াডাঙ্গা টিটিসিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতি বাড়াতে অভিভাবক সমাবেশ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সরকারি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে (টিটিসি) শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতি বাড়াতে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে শহরের ভিমরুল্লাহ টিটিসি মিলনায়তনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা এখন থেকে নিয়মিত ভাবে টিটিসিতে ক্লাস করবে বলে অঙ্গীকার করে।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার টিটিসির অধ্যক্ষ আবুল হাসেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অভিভাবক সমাবেশে চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু প্রধান অতিথি এবং বাংলাদেশ ডিপ্লোমা প্রকৌশলী অ্যাসোসিয়েশন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক উপসহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। টিটিসির টেক কম্পিউটার ইন্সট্রাক্টর রেখা হালদারের উপস্থাপনায় অভিভাবক সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, টেক গার্মেন্টস ইন্সট্রাক্টর আল আমিন বিশ্বাস, অভিভাবক রওশন আরা রীনা ও মনিরুজ্জামান। সমাবেশে কোরআন তেলাওয়াত করেন মো. আলামিন ও গীতা পাঠ করেন ভজন সাহা।

সমাবেশে প্রধান অতিথি মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী বলেন, টিটিসি এতো সুন্দর প্রতিষ্ঠান থাকার পরও শিক্ষার্থীরা আসছে না। অভিভবকরা সচেতন হোন, দায়িত্ব আমাদের। এই প্রজন্মের সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলি। আপনি তখনই সফল বাবা-মা যখন আপনার সন্তানকে সুশিক্ষিত করতে পারবেন। যদি ছাত্রছাত্রী না আসে প্রতিষ্ঠান থেকে লাভ কী। দেশের মধ্যে সবচেয়ে নামকরা প্রতিষ্ঠান হবে সেই লক্ষ্যে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। সন্তানকে প্রতিষ্ঠানে পাঠান, একদিন আপনারা গর্বিত হবেন। শিক্ষকদের সম্মান দিতে হবে যা সন্তানকে শেখাতে হবে।

অধ্যক্ষ আবুল হাশেম বলেন, শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে এসে ভালোভাবে শিখুক এটাই আশা করি। সেজন্য আমি নিজেও ক্লাস নিয়ে থাকি। গোটা বাংলাদেশে টিটিসির সুনাম ছড়িয়ে পড়ুক সেটাই আশা করবো। ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত ক্লাস চলে। প্রতিমাসে শিক্ষার্থীদের ৪০০ টাকা করে বৃত্তি দেয়া হয়। তবে কমপক্ষে ৭০ থেকে ৯০ দিন ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি টেকনিক্যাল সেন্টার (টিটিসি) ২০১৫ সালের আগস্ট মাস থেকে সিভিল কনস্ট্রাকশন, অটোমোবাইল, ওয়ের্ল্ডিং, গার্মেন্টস, ইলেকট্রিক্যাল, কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স ও মেশিন টুলস এ ৮টি বিষয়ে ৬ মাস মেয়াদী ট্রেডকোর্স করানো হয়। বর্তমানে ১১০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। সমাবেশ শেষে টিটিসির বিভিন্ন কোর্সের ক্লাসরুম পরিদর্শন করেন প্রধান অতিথি মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী।