দিনাজপুরের মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে চুয়াডাঙ্গায় নিয়ে দুই বন্ধুর পালাক্রমে ধর্ষণ অভিযোগ

কুড়ুলগাছি/কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ভাগিয়ে নিয়ে এসে চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণ করা হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুল্লা গ্রামের চুলব্যবসায়ী দুই বন্ধু তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৫টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ি পুলিশ পীরপুরকুল্লা গ্রাম থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা মডেল থানায় নেয়।

পুলিশ ও ধর্ষিত স্কুলছাত্রী জানায়, দামুড়হুদা উপজেলার পীরপুরকুল্লা গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে সাকিব (১৮) ও একই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে জুয়েল (১৮) দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার বেগমপুর গ্রামে চুল কেনার ব্যবসা করতে যায়। এ সময় ওই গ্রামের জলিল কবিরাজের মেয়ে ঢাকা আশুলিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে পরিচয় হয় চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার সাকিবের। তাদের মধ্যে তৈরি হয় প্রেমসম্পর্ক। গত ২১ এপ্রিল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দামুড়হুদার পীরপুরকুল্লা গ্রামে নিয়ে আসে সাকিব। প্রবাসী শহিদুলের স্ত্রী তহমিনার সহযোগিতায় তার বাড়িতে নিয়ে ৬ দিন আটকে রাখে সে। এ সময় আটকে রেখে ওই স্কুলছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে একই গ্রামের জুয়েল ও সাকিব। গতপরশু বুধবার ওই স্কুলছাত্রী বাড়ি ফিরে গেলে তার পিতা বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। উপায় না পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিদবার আবারও দামুড়হুদার পীরপুরকুল্লায় ফিরে আসে। পূর্বে আশ্রয়দাতা তহমিনা খাতুন বাড়িতে উঠতে না দিলে গ্রামবাসী বিষয়টি টের পেয়ে যায়। খবর পেয়ে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জিয়াউল হক ও এএসআই মুহিতুর রহমান মুহিত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে দামুড়হুদায় থানায় সোপর্দ করেন। অভিযুক্তরা গাঢাকা দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বিষয়টি টের পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ি পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। বিকেল ৫টার দিকে ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই জিয়াউল হক পীরপুরকুল্লা গ্রামের প্রবাসী শহিদুলের বাড়ি থেকে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। পরে তাকে দামুড়হুদা মডেল থানা হেফাজতে রাখা হয়। তবে ধর্ষক সাকিব ও জুয়েলকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ বিষয়ে কার্পাসডাঙ্গা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এসআই জিয়াউল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, মেয়েটি নাবালিকা হওয়ায় তার পরিবারের লোকজন এখানে এলেই সকল আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।