গ্রেফতার বাণিজ্যে দৌলতপুর থানা পুলিশ!

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: গ্রেফতার বাণিজ্যে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানা পুলিশ। দৌলতপুর থানা পুলিশের চাঁদাবাজি, গ্রেফতার বাণিজ্য, মাদক ধরে ছেড়ে দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে জানাযায়, গত ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় দৌলতপুর থানার এসআই সাইফুল উপজেলার সাদিপুর গ্রামের পচাই প্রামানিকের ছেলে ও আওয়ামী লীগ কর্মী ইমাদুল প্রামানিককে ওসি সাহেব ডাকছে বলে থানায় ডেকে নিয়ে আসে। ইমাদুল তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল যোগে থানায় গেলে তার বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল চুরির মামলা আছে বলে দারোগা সাইফুল ৭০ হাজার টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে পেন্ডিং মামলায় চালান দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। বাধ্য হয়ে ইমাদুলের স্বজনরা ৪০ হাজার টাকা দিলে তাকে ৫৪ ধারায় চালান দেয়ার প্রস্তুতি নেয় ওই এসআই সাইফুল। এরপর ইমাদুলের গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা প্রতিবাদ জানালে এসআই সাইফুল টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়। এসআই সাইফুল আওয়ামী লীগ নেতাদের কথা উপেক্ষা করে ইমাদুলকে ৩টি চুরির পুরাতন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতারা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, একজন নিরীহ মানুষকে দারোগা সাইফুল কোন খুটির জোরে পেন্ডিং মামলায় চালান দেয় তা তাদের বোধগম্য নয়।

অপরদিকে থানার এএসআই ফয়সাল উপজেলা বাজার থেকে নিজাম ও তার স্ত্রীকে মাদকব্যবসার অভিযোগে আটক করে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে। এর আগে থানার দক্ষিণপাড়া থেকে গাঁজা সেবনকালে জহির ও মাহাবুলকে আটক করে ২৫ হাজার  টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে এএসআই ফয়সাল। গত ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় কলেজ পাড়ার সিরাজ ও ফরিদকে গাঁজাসেবনের দায়ে আটক করে এএসআই আসাদ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার ওসি শাহিদুল ইসলাম শাহিন জানান, ইমাদুলের বিরুদ্ধে মামলা ছিলো বলে তিনি জেনেছেন। অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।