গরমে সুস্থ থাকতে দরকার বাড়তি সতর্কতা

চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ সারাদেশে তিন সপ্তাহর অধিক সময় ধরে বিরাজ করছে দাবদাহ। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে প্রাণ ওষ্ঠাগত। ঘুরে ফিরেই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা। অথচ বিদ্যুতের লোডশেডিং লেগেই রয়েছে। বেড়েই চলেছে ডায়রিয়াসহ গরমজনিত নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বাড়তি প্রস্তুতি বলতে হাসপাতালে বাড়তি ৪০টি বৈদ্যুতিক পাখা। আর পৌর এলাকায় রাতে বাড়তি পানি সরবরাহ। ব্যাস!

আবহাওয়াবিদদের অভিমত ‘এল-নিনোর’ প্রভাবে দীর্ঘস্থায়ী দাবদাহে পুড়ছে আমাদের দেশসহ পড়শি দেশও। প্রতিকূল আবহাওয়ায় চুয়াডাঙ্গায়ও দেখা দিয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপসহ গরমজনিত নানা রোগ। বিশেষ করে হিটস্ট্রোকে একের পর এক মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। চলতি গরম মরসুমে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মারা গেছেন কমপক্ষে ৭ জন। চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরেও মৃত্যুর সংখ্যা কম নয়। গতকালও সাতগাড়ির এক রিকশাচালক আদালত প্রাঙ্গণে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। দামুড়হুদাতেও দিনমজুরের মৃত্যুর খবর উঠে এসেছে পত্রিকার পাতায়। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন- এল নিনো কি? যার আবিধানিক অর্থ দুষ্টবালক। দু থেকে সাত বছর পর পর প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝ বরাবর বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে উত্তাপ বেড়ে যাওয়াকেই মূলত এল নিনো বলা হয়।  যেই কারণে আফ্রিকা মহাদেশে ইতোমধ্যে তীব্র খরা দেখা দিয়েছে। ভারতেও চলছে খরা। ছোঁয়া আমাদের দেশেও।

প্রকৃতির বিরূপতার সময়ে ডায়রিয়াসহ নানান অসুখ-বিসুখ মোকাবেলায় সর্ব প্রথম যেটা প্রয়োজন তা হলো বাড়তি সতর্কতা। বিশেষ করে শিশুদের সুস্থ রাখতে বড়দের সচেনতার বিকল্প নেই। একই সাথে দরকার সরকারি-বেসরকারিভাবে বিশেষ উদ্যোগ। গরমে বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি পান করাসহ তরল ও টাটকা খাবার খেলে অসুস্থতার ঝুঁকি কমে।