বেগমপুরের কোটালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান : বালু উত্তোলন করায় পুকুরমালিক মফির জরিমানা

 

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে কোটালী গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আদালত অবৈধ্য ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করার অপরাধে মফিজুল ইসলামকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন। উত্তোলনকৃত বালু বিক্রি করলে কোঠর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও শতর্ক করে দেয়া হয় বালু উত্তোলনকারীকে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের কোটালী গ্রামের ভরস মোল্লার ছেলে মফি মরাগাঙের মধ্য থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ৭০/৮০ ফুট গর্ত করে বাণিজ্যিকভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলো দীর্ঘদিন থেকে। ফলে অতি মাত্রায় বালু উত্তোলন করায় আশপাশ এলাকার আবাদী জমি পড়ে হুমকির মুখে। বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এ সুস্পটভাবে উল্লেখ আছে আবাসিক এলাকা থেকে কমপক্ষে ১ কি.মিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল বুধবার বিকেল ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান সদর এসিল্যান্ড মারুফুল আলমকে সাথে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কোটালী গ্রামের মরাগাঙ্গের মধ্যে অবস্থিত মফির পুকুরে। সরকারী ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভূমি এবং ইমারত দখল পুনরুর্দ্ধার আদেশ ১৯৭০ সালের (৭) ধারা মোতাবেক ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন মফিকে। সেই সাথে উত্তোলনকৃত বালু যদি বিক্রি করা হয় তাহলে পরবর্তীতে জেল জরিমানা দুটোই করা হবে বলে মফিকে কঠরভাবে শতর্ক করেন আদালত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা কামাল হোসেন, বেগমপুর ভূমি অফিস সহকারী আছের আলী। এদিকে বেগমপুর ইউনিয়নে বালু উত্তোলনের ডেরায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে এমন সংবাদে পেয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। এ সময় এসিল্যান্ড বলেন, ইউনিয়নের যে সমস্থ জায়গায় বালু উত্তোলন হচ্ছে সে সমস্থ জায়গায় পর্যায়ক্রমে অভিযান চালানো হবে।