আগুনে পুড়লো দিল্লির জাতীয় জাদুঘর
মাথাভাঙ্গা মনিটর: আগুনে পুড়ে ছাই হলো ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক বিশাল সংগ্রহশালা দিল্লির জাতীয় জাদুঘর। গত সোমবার গভীর রাতের আগুনে পুরো জাদুঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর এনডিটিভির। আকস্মিক এই আগুন নিয়ন্ত্রণে গিয়ে ৬ দমকলকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় ও দমকলকর্মীরা জানায়, জাদুঘরের সবচেয়ে ওপরের ফ্লোরে প্রথমে আগুন লাগে। পরে তা অন্য ছয়টি ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দমকলের ৩৫টি গাড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করে। কয়েক ঘণ্টার আপ্রাণ চেষ্টায় পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে আহতদের স্থানীয় রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক দমকল কর্মকর্তা জানান, ভবনের নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি ঠিকমত কাজ না করায় আগুন নেভাতে সময় লেগে গেছে। এদিকে সকালে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা জাদুঘরটি পরিদর্শন করেছেন পরিবেশমন্ত্রী প্রকাশ জাভেদকার। তিনি বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। কারণ জাদুঘর জাতীয় সম্পদ সংরক্ষণাগার। আগুনে পুড়ে তার যে ক্ষতি হয়েছে তা সংখ্যায় প্রকাশযোগ্য নয় বলেও মন্তব্য করেন প্রকাশ জাভেদকার।
চা, তা সোনার চেয়েও দামি
মাথাভাঙ্গা মনিটর: চায়ের দাম সোনার দামের চেয়ে বেশি। শুধু বেশি না তাও নাকি ৩০ গুণ। শুনলেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। কিন্তু এটাই সত্যি। এই চা উৎপাদন করা হয় এবং লাখ লাখ টাকা খরচ করে মানুষ তা পানও করেন। চীনে তৈরি এই চায়ের নাম হলো ‘ডা হং পাও’। বিবিসি’র প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই চায়ের ইতিবৃত্ত। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০২ সালে এক ধনী ক্রেতা ২০ গ্রাম চা কেনার জন্য ব্যয় করেছিলেন ২৮ হাজার মার্কিন ডলার (২২ লাখ টাকা)। অর্থাৎ প্রতি গ্রাম চায়ের জন্য তিনি খরচ করেছিলেন ১৪শ’ ডলার। এটাই বিশ্বের সবচেয়ে দামি চা। এই চা উৎপাদিত হয় দক্ষিণ চীনের কুয়াশাচ্ছন্ন নদী তীরবর্তী ও পাহাড়ে ঘেরা ফুজিয়ানের উয়িশানে। স্থানীয় চা উৎপাদনকারী জিয়াও হুই বলেন, এই চা দেখলে মনে হবে তা ভিখারির জন্য কিন্তু যে দাম তা সম্রাট এবং বুদ্ধের মতো যাদের হৃদয় আছে তাদের জন্যই বলতে হবে। জিয়াও ও তার পরিবার কয়েক প্রজন্ম ধরে এই চা উৎপাদন করছে। উয়িশানে ‘ডা হং পাও’ কম দামেও পাওয়া যায়। কিন্তু সেটা আসল ‘ডা হং পাও’ নয়। আসল চা দামি হওয়ার কারণ হল এই চায়ের আসল গাছের সংখ্যা এখন খুবই কম। স্থানীয় টি মাস্টার জিয়াংনিং উ বলেন, এই প্রাচীন গাছ খুবই দামি, এক কথায় বললে অমূল্য। এই চায়ের উৎপাদন খুবই সীমিত। বছরে মাত্র কয়েক শ’ গ্রাম আসল ‘ডা হং পাও’ উৎপাদিত হয় এবং গাছগুলো সব সময় সশস্ত্র পাহারায় থাকে। এই চা শুধু চীনা ধনীরা পান করেন তা নয়। চীনের বাইরে ব্রিটেনসহ অনেক দেশের মানুষের কাছে এই চায়ের চাহিদা আছে।
তীব্র গরমে কম্বোডিয়ায় হাতির মৃত্যু
মাথাভাঙ্গা মনিটর: কম্বোডিয়ায় তীব্র গরমে হার্ট এটাকে মারা গেছে একটি হাতি। হাতিটির বয়স ছিল ৪০ থেকে ৪৫ বছর। এজন্য কম্বোডিয়ার পার্কে হাতির উপর চড়াকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছেন হাজারো মানুষ। ২০০১ সাল থেকে এঙ্কার এলিফ্যান্ট কোম্পানিতে কাজ করতো এলডারিলি স্যামবো নামের ওই হাতি। ঘটনার দিন ৪০ মিনিট ধরে তীব্র গরমে কাজ করছিলো হাতিটি। কিন্তু এরপরই মনে যায় সে। হার্ট এটাকে মারা যায়। শুক্রবারের এ ঘটনা নাড়া দেয় কম্বোডিয়াবাসীকে। অনলাইনে একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেন ১৫ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ। তাদের দাবি, এঙ্কার আর্কিওলজিকাল পার্কে হাতির উপর আরোহন নিষিদ্ধ করতে হবে। চেঞ্জ ডট ওআরজির পিটিশনে বলা হয়, ‘দর্শনার্থীদের জন্য একটি নিষ্ঠুর আকর্ষণ তৈরি করা হয়েছে যা হাতিদের জন্য হুমকি বলে প্রমাণিত হয়েছে। এটি কম্বোডিয়ার পর্যটন শিল্পকে ধ্বংস করে দিতে পারে। এটি বন্ধ করতে হবে।’ জানানো হয়, হাতির ওপর চড়া থেকে নিষ্ঠুর আর কিছু হতে পারেনা। এঙ্কার এলিফ্যান্ট কোম্পানির ম্যানেজার ওয়ান কিরি বলেন, তারা এই ঘটনায় শোকাহত। স্যামবো ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কাজ করছিলো। সে আসলে হার্ট এটাকে মারা গেছে। প্রাণী অধিকার সংগঠনগুলো এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
নারীর নিরাপত্তায় ফোনে যুক্ত হচ্ছে পেনিক বাটন
মাথাভাঙ্গা মনিটর: নারীদের নিরাপত্তা বিধানে প্রযুক্তির সহায়তা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এরই অংশ হিসেবে জরুরি প্রয়োজনে দ্রুত কল করতে আগামী বছরের প্রথম দিন থেকেই মোবাইলফোনে সংযুক্ত হচ্ছে পেনিক বাটন। ওইদিন থেকে বিশেষ এ বাটন ছাড়া কোনো ফোন বিক্রি হবে না বলেও ঘোষণা দেয়া হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের। এছাড়া ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সব ফোনে ইন-বিল্ট জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) নেভিগেশন সিস্টেমও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দেশটির টেলিকমিউনিকেশন বিষয়কমন্ত্রী রাভি শঙ্কর প্রসাদ এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানান। সমস্যায় পড়লে নারীরা পেনিক বাটন প্রেস করার মাধ্যমে ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী সিকিউরিটি এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। ফিচার ফোনের ক্ষেত্রে ৫ বা ৯ নম্বর বাটন চেপে এ জরুরি সেবা পাওয়া যাবে।