স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় হুমায়রা জাহান সুখী (৩৫) নামে কাতার এয়ারওয়েজের একজন সাবেক কেবিন ক্রুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকেলে পশ্চিম রাজাবাজারের ৪৪/৮/এইচ নম্বর নিজ বাসা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়। পুলিশের ধারণা, ২-৩ দিন আগেই সুখীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বন্ধু তুষার ও দারোয়ান ইলিয়াসকে আটক করেছে পুলিশ।
শেরেবাংলা নগর থানার এসআই মাহমুদুজ্জামান জানান, পচা গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় সুখীর লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। লাশটি ফুলে উঠলেও শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুখীর বন্ধু তুষারকে বাসার নিচে দেখতে পায়। পরে সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুষার ও দারোয়ান ইলিয়াসকে আটক করে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, নিজেদের ষষ্ঠতলা বাড়ির তৃতীয়তলার ফ্ল্যাটে থাকতেন সুখী। নিচতলায় তার বাবা সিভিল এভিয়েশনের সাবেক প্রকৌশলী আহামদুল ইসলাম এবং দ্বিতীয়তলায় ভাই কাতার এয়ারওয়েজের পাইলট সুমন থাকেন। তার বড় বোন স্বামীর সাথে ভাটারা এলাকায় থাকেন। তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই থানার জোড়ারগঞ্জ গ্রামে।
পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, পরিবারের অন্যদের সাথে সম্পর্ক ভালো ছিলো না সুখীর। নিজের মতো করে থাকতেন। ২০০৮ সালে বিয়ের পর কেবিন ক্রুর চাকরি ছেড়ে দেন। বিয়ের ৩ মাসের মাথায় স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ফের একটি ডেভেলপার কোম্পানিতে চাকরি নেন। বছরখানেক ধরে বেকার ছিলেন সুখী। তবে আইইএলটিএস ও কোয়ান্টাম মেথডে ভর্তি হয়ে ক্লাস করছিলেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ৱ্যাব-২’র এএসপি ইয়াছির আরাফাত বলেন, ঘরের ভেতর থেকে দরজার সিটকিনি লাগানো ছিলো। ভেতর থেকে কেউ বের হয়নি সেটা বোঝা যাচ্ছে। ফ্যান চলছিলো। ওই বাসায় সে একাই থাকতো। তার মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।