বিদ্যুতের লোডশেডিঙে দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা-কুড়ুলগাছির জনজীবন বিপর্যস্ত

কুড়লগাছি প্রতিনিধি: প্রচণ্ড গরম আর ভয়াবহ লোডশেডিঙে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কার্পাসডাঙ্গা-কুড়ুলগাছির জনজীবন। গত কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড রোদ আর গরমে মানুষের প্রাণ যায় যায় অবস্থা। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। শিশু আর বৃদ্ধদের অবস্থা একেবারে কাহিল। দুপুর ও সন্ধ্যা  হলেই চলে যাচ্ছে বিদ্যুত। কখন আসবে সে খবরও কারো জানে নেই। ফলে দৈনন্দিন কাজকর্মেও দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। বিদ্যুতের খবর জানতে চুয়াডাঙ্গা পল্লী বিদ্যুত জোনাল অফিসের অভিযোগ কেন্দ্রে একাধিকবার ফোন করেও ফোন রিসিভ হয় না। এমনকি ফোন রিসিভ হলেও অভিযোগকারীদের সাথে করা হয় ঔদ্ধত্যপূর্ণ ব্যবহার। বিদ্যুত কখন আসবে সে খবরও জানতে পারেন না গ্রাহকেরা। এমন হাজারো অভিযোগ রয়েছে চুয়াডাঙ্গা জোনাল অফিসের অভিযোগ কেন্দ্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। দিন-রাত সমানতালে বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে কার্পাসডাঙ্গা-কুড়ুলগাছিসহ বিভিন্ন  গ্রামাঞ্চলে। কোনো কোনো গ্রামে দিন-রাতে চার-পাঁচবার বিদ্যুতের যাওয়া-আসা চলে। আর বিদ্যুত গেলেই দুই থেকে তিন ঘণ্টা ধরে দেখা পাওয়া যায় না। উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘরা এলাকার মহিউদ্দীন বলেন, বিদ্যুতের লোডশেডিং এখন বিদ্যুত অফিসের লোকজনের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিদ্যুত গেছে আর এসেছে রাত সাড়ে ৯টায়। এভাবে একটানা বিদ্যুত না থাকলে যেমন ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তেমনি বৃদ্ধ ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। মহিউদ্দীনের মতো অনেকেরই অভিযোগ দুপুর, সন্ধ্যা আর রাত ১২টার পরে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিনই দামুড়হুদা উপজেলার গ্রামাঞ্চলে চলছে ভয়াবহ লোডশেডিং। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা পল্লী বিদ্যুত সমিতির জোনাল অফিসের ডিজিএম হাবিবুর রহমান সাথে একাধিকবার ফোন করেও ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।