পুলিশ ঘরে ঘরে পাহারা দিতে পারবে না : নিজেদেরও দায়িত্ব নিতে হবে : আইজিপি

স্টাফ রিপোর্টার: দেশে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ও খুনি ধরতে ব্যর্থতার সমালোচনার মধ্যে আইজপি একেএম শহীদুল হক বলেছেন, পুলিশ ঘরে ঘরে পাহারা দিয়ে পারবে না, নিজেদেরও নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে হবে। গত সোমবার বিকেলে রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাসে নিজ বাসায় খুন হন ইউএসএআইডির কর্মকর্তা সমকামী অধিকার কর্মী জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আইজিপি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। এ সময়  সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, অত্যন্ত সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ধারণা করছি, রেকি করে খুনিরা খুনের পরিকল্পনা করেছে। জায়গাটা যথেষ্ট সিকিওরড। খুনিরা পালিয়ে যাওয়ার সময় আশপাশ থেকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হলে তাদের ধরা যেতো। এ ঘটনা জঙ্গিরা ঘটিয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের  জবাবে তিনি বলেন, এ নিয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না। কেবল তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মন্তব্য করা যাবে না। জুলহাজ ও তনয়কে যে এলাকায় হত্যা করা হয়েছে, সেখানে কোনো সিসিটিভি নেই। এ প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য অনুরোধ করেছি। এটা নিজস্ব নিরাপত্তা। এলাকার নিরাপত্তার বিষয়ে নিজেদেরই চিন্তা করতে হবে।

পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হলে তা ঠেকাতে না পারায় গোয়েন্দাদের কাজের ঘাটতি ধরা পড়েছে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, গোয়েন্দারা ‘মাইক্রো’ লেবেলের কাজ ডিল করে না। একটা ব্যক্তিকে কখন কীভাবে হত্যা করা হবে, সেটা ধরা গোয়েন্দাদের কাজ নয়। একটা সামগ্রিক বিষয়ে তারা তথ্য সংগ্রহ করে। এটাকে ইন্টেলিজেন্টের ব্যর্থতা বলবো না। তাদের সফলতা আছে বলেই আমরা অনেক জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছি। তবে এখনই হত্যার ‘মোটিভ’ সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি তিনি।

খুনিদের ধরার বিষয়ে আশা প্রকাশ করে আইজিপি বলেন, আমাদের দক্ষ ইনভেস্টিগেটর আছে। অতীতে জঙ্গিরা যেসব ঘটনা ঘটিয়েছে সেসব ঘটনায় অপরাধীদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। এই ঘটনায়ও অপরাধীদের চিহ্নত করা সম্ভব হবে। শনিবার রাজশাহীতে খুন হওয়া অধ্যাপক এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের তদন্তে  উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আছে- বললেও কী সেই অগ্রগতি তা বলেননি শহীদুল হক। কাশিমপুরে কারারক্ষী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হত্যাকাণ্ডগুলো একই সূত্রে গাঁথা কি-না এ প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, কাশিমপুরে কারারক্ষী কিংবা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হত্যা একই সূত্রে গাঁথা  নয় আলাদা ঘটনা।