দেশের টুকিটাকি : জোড়া খুনের দায় স্বীকার আনসার আল ইসলামের

জোড়া খুনের দায় স্বীকার আনসার আল ইসলামের

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর কলাবাগানে বাসায় ঢুকে মার্কিন দূতাবাসের সাবেক প্রটোকল কর্মকর্তাসহ দুজনকে কুপিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছে আনসার আল ইসলাম। মঙ্গলবার এক বার্তায় এই স্বীকারোক্তি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন আল -কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশের এই শাখা, যা জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ প্রকাশ করেছে। আনসার আল ইসলামের মুখপাত্র মুফতি আব্দুল্লাহ আশরাফের নামে এই টুইট করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহে আনসার আল ইসলামের দুঃসাহসী মুজাহিদিনরা বাংলাদেশের সমকামিতা প্রসারের পথিকৃত, সমকামীদের গুপ্ত সংগঠন রূপবানের পরিচালক জুলহাস মান্নান ও তার সহযোগী সামির মাহবুব তনয়কে হত্যা করেছেন। ক্রুসেডার আমেরিকা ও তার ভারতীয় মিত্রদের সাহায্য নিয়ে ১৯৯৮ সাল থেকে এই ভূ-খণ্ডের অধিবাসীদের মাঝে সমকামিতার মতো জঘন্য অশ্লীলতা ছড়িয়ে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছিলো এই বেতনভোগী ভৃত্যদ্বয়। ইনশাআল্লাহ! বিস্তারিত শিগগিরই আসছে… বলেও টুইটে উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ৩৫ উত্তর ধানমণ্ডির বাসায় ঢুকে জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয়কে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

 

সুনামগঞ্জে বিদ্যুতস্পৃষ্টে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার: সুনামগঞ্জের উত্তর ধর্মপাশা উপজেলায় মধ্যনগরে বিদ্যুতস্পৃষ্টে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলায় মধ্যনগর থানা চামারদানী ইউনিয়ননে রামদিঘা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃতরা হলেন- বাড়ির মালিক রঞ্জিত সরকার (৪৫), স্ত্রী রীতা সরকার (৩৫), মেয়ে সোনালী সরকার (১০) ও রঞ্জিত সরকারের বাবা জগদীস সরকার (৭০)। মধ্যনগর থানার ওসি মাজহারুল হক বলেন, সকালে বাড়ির উঠানে বসে বাড়ির মালিক রঞ্জিত সরকারসহ এক পরিবারের চারজন মুড়ি খাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ উঠানের ওপরে থাকা বিদ্যুতের তার ছিড়ে তাদের গায়ের ওপর পড়ে। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়।

 

অবশেষে সেই সাপটিকে গুলি করে মারলো পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার: আজব এক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলো চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের আজমতপুর গ্রামের মানুষ। একটি সাপকে দুবার মেরে গর্তে পুঁতে রাখার পরও সেটিকে জীবিত দেখতে পায় বলে দাবি গ্রামবাসীর। এ নিয়ে প্রথম দুবার যারা সাপটিকে মেরেছিলো তারা বিপাকে পড়ে। তাদের আশঙ্কা, সাপটি তাদের ক্ষতি করতে পারে। এ চাঞ্চল্যের মধ্যে শেষ পর্যন্ত পুলিশ গুলি করে সাপটিকে মেরে ফেলেছে। এর আগে বারবার মেরে ফেলার পরেও বেঁচে ওঠায় সাপটিকে নিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। তারা এটিকে জিন সাপ বলে প্রচার করতে থাকে। মঙ্গলবার সকালে আজমতপুর গ্রামের বাসিন্দা খাইরুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার রাতে তার বাড়ির পেছনে একটি নতুন (অব্যবহৃত) টয়লেটে হাত তিনেক লম্বা একটি বিষধর সাপ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে তারা সাপটিকে মেরে একটি গর্তে পুঁতে রাখে। কিন্তু গত রোববার রাতে একই সমান লম্বা একই ধরনের আরেকটি সাপ ফের ওই টয়লেটে দেখা যায়। বিষয়টি দেখে এলাকাবাসী আগের দিনের পুঁতে রাখা সাপটি গর্ত খুঁড়ে দেখতে গেলে সেখানে কিছু পাওয়া যায়নি। পরে দ্বিতীয় সাপটিকে মেরে তারা ওই গর্তে পুঁতে রাখে। এরপর সোমবার রাতে আবারও একই ঘটনা ঘটে। একই ধরনের সাপকে চলাচল করতে দেখেন তারা। তবে এবার গ্রামবাসী ভয় পেয়ে সাপটিকে আর মারেনি। তবে তার গতিবিধির ওপর নজর রাখে। তাদের আশঙ্কা ছিলো, সাপটি তাদের ক্ষতি করতে পারে। গ্রামের তোহিদুল ইসলাম আপেল জানান, গত চার দিন ধরে একটি সাপ নিয়ে একই ঘটনা ঘটতে থাকে। সবাই এটিকে জিন সাপ মনে করতে শুরু করে। এজন্য শেষবার দেখার পরও আর সাপটিকে কেউ মারতে সাহস করেননি। এরপর মঙ্গলবার মাগরিবের আগে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাপটিকে গুলি করে মেরে ফেলে। আজমতপুর গ্রামের খাইরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ গুলি করে সাপটিকে মেরে ফেলেছে।