ঝিনাইদহে ১ মাস ধরে সিটিসেলের নেটওয়ার্ক নেই : ভোগান্তিতে গ্রাহকরা

স্টাফ রিপোর্টার: ঝিনাইদহের ৩ উপজেলায় ১ মাস যাবৎ সিটিসেল মোবাইলফোনের নেটওয়ার্ক নেই। ফলে ঝিনাইদহ জেলায় সিটিসেলের ১০ হাজার গ্রাহক চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এদিকে জনরোষ এড়াতে পালিয়েছেন কোম্পানির ঝিনাইদহের ডিলার ফেইথ টেলিকমের মালিক শহিদুল ইসলাম মিঠু। টেরিটরি অফিসার বুলবুল আহম্মেদও অফিসে আসেন না। ফলে গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়াও বন্ধ হয়ে আছে। গ্রাহকরা এইচ এস এস সড়কে অবস্থিত কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে দেখেন অফিস বন্ধ।
আব্দুর রহমান নামে এক গ্রাহক অভিযোগ করেন, বেশির ভাগ সময় ঝিনাইদহের কাস্টমার অফিসটি বন্ধ থাকায় তারা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন করতে পারছেন না। তার মত শত শত গ্রাহক প্রতিদিন হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। নেট না থাকায় স্বজনদের খোঁজ খবর নিতে পারছেন না। কোম্পানির ঝিনাইদহের ডিলার শহিদুল ইসলাম মিঠু মুঠোফোনে জানান, কারিগরি ত্র“টির কারণে গত ২৯ মার্চ থেকে ঝিনাইদহ সদর, হরিণাকুন্ডু ও শৈলকুপায় নেটওয়ার্ক বন্ধ। কি সমস্যা আছে তাও তিনি বলতে পারেন না। ঝিনাইদহ কাস্টমার কেয়ারের টেরিটরি অফিসার বুলবুল আহম্মেদ জানান, কি কারণে নেট বন্ধ তা আমার জানা নেই। আপনারা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তথ্য নিতে পারেন। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিটিসেল কোম্পানির এক কর্মকর্তা জানান, টাওয়ারের বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকার কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ফলে বিটিএস মেশিন বন্ধ হয়ে গেছে। এ ছাড়া বিটিআরসি থেকে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। টাকার অভাবে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে খুলনা বিভাগের ম্যানেজার (নেটওয়ার্ক) আমির হোসেন জানান, বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছন্ন থাকার কারণে টেকনিক্যাল কিছু সমস্যা হয়েছে। এ কারণে আমরা সেবা দিতে পারছি না। তবে দ্রুতই আমরা সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবো বলে তিনি জানান। তবে তিনি বিটিআরসি থেকে ট্রেড লাইসেন্স নবায়নে জটিলতার কথাটিও জানান।