পাঁচে নয়, সাতেই থাকছে বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রধান নাজমুল হাসান বাংলাদেশ আইসিসি ওয়ানডে ৱ্যাঙ্কিংয়ের পাঁচে উঠছে বলে জানালেও আসলে সাত নম্বরেই থাকছে বাংলাদেশ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন আইসিসির মিডিয়া ম্যানেজার সামি উল হাসান।

আইসিসির ওয়ানডে ৱ্যাঙ্কিংয়ের বার্ষিক হালনাগাদে বিবেচনায় নেয়া হয় সর্বশেষ তিন মরসুমের পারফরম্যান্স। আগামী হালনাগাদের সময় তাই বিবেচনায় নেয়া হবে ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ মরসুমের পারফরম্যান্স। এ ক্ষেত্রে প্রথম দু মরসুমের ফলাফলের পয়েন্টের ৫০ শতাংশ বিবেচনায় নেয়া হবে আর ২০১৫-১৬ মরসুমের নেয়া হবে শতভাগ। সেই হিসাবে হালনাগাদের পর আগামী ০২ মে যে ৱ্যাঙ্কিং প্রকাশ করা হবে, সেখানে বাংলাদেশ এখনকার মতোই সাত নম্বরেই থাকবে।

দুবাইয়ে আইসিসি সভায় বিসিবি প্রধানকে পঞ্চম স্থান বলে যেটি জানানো হয়েছে, সেটি বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৱ্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা আট দল সরাসরি সুযোগ পাবে ২০১৯ বিশ্বকাপে। স্বাগতিক ইংল্যান্ড যদি শীর্ষ আটের বাইরে থাকে, সেক্ষেত্রে সুযোগ পাবে ইংল্যান্ড ও শীর্ষ সাত দল।

২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরও যথারীতি বিবেচনায় নেওয়া হবে সবশেষ তিন মৌসুমের হিসাব। বিবেচনায় আসবে তখন ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ মরসুমের হিসাব। বাদ পড়ে যাবে ২০১৩-১৪। শুধু ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ মৌসুমের হিসাব করলে বাংলাদেশ পাঁচ নম্বরে আছে, তবে এই অবস্থান বর্তমান ৱ্যাঙ্কিং অথবা বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার বিষয়ে মূল বিবেচ্য নয়। বিশ্বকাপের ক্ষেত্রে আগামী বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের ৱ্যাঙ্কিংয়ের অবস্থান বিবেচনায় নেয়া হবে। তখন বাংলাদেশ যে মরসুমটায় ভালো করেছে সেই ২০১৫-১৬ মরসুমের পয়েন্টের শতভাগ নয়, ৫০ শতাংশ বিবেচনায় আসবে। সরাসরি খেলতে হলে তাই এখনও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে বাংলাদেশকে।

আনুষ্ঠানিক ৱ্যাঙ্কিংয়ে সবসময়ই সবশেষ ৩ বছরের হিসাব বিবেচনায় নেয়া হয়। দুবাইয়ে বোর্ড প্রধানকে জানানো হয়েছে স্রেফ বাংলাদেশের অগ্রগতির ব্যাপারটি। দুবাইয়ে আইসিসির সভা থেকে ফিরে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি প্রধান জানিয়েছিলেন, ওয়ানডে ৱ্যাঙ্কিংয়ের পাঁচে উঠছে বাংলাদেশ।