অবাধ্য স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে নির্যাতনের শিকার জীবননগর বাড়ান্দীর জাফর

জীবননগর ব্যুরো: পরকীয়ায় মত্ত হয়ে পেমিকের লোকজন দিয়ে স্বামীর ওপর অকথ্য নির্যাতনের বিরুদ্ধে মামলা করে এবার মধ্যযুগীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছে জীবননগর উপজেলার বাড়ান্দী গ্রামের জাফর আলী (২৮)। মারাত্মক আহত জাফরকে গতকাল রোববার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গত শুক্রবার গভীররাতে তালাক প্রদত্ত স্ত্রীর স্বজনেরা জাফরের বাড়িতে ঢুকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয় ও নির্মমভাবে নির্যাতন করে।

অভিযোগে জানা গেছে, জীবননগর বাড়ান্দী মাঠপাড়া গ্রামের শওকত আলী মনুর ছেলে জাফর আলীর সাথে পার্শ্ববর্তী মহেশপুর উপজেলার সামন্তা পারকুল্লাপুরের রাহাজ উদ্দীনের মেয়ো আনোয়ারা খাতুনের (২৫) সাথে বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে ৯ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন পর হঠাত স্ত্রী আনোয়ারা পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়লে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। ২০১৪ সালের ৪ জানুয়ারি স্ত্রী আনোয়ারা পরকীয়া প্রেমিকের সাথে গোপন আতাতের মাধ্যমে জীবননগর ডিগ্রি কলেজ থেকে স্বামী জাফর আলীকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর তাকে আলমডাঙ্গা মাঠে ধরে নিয়ে দুর্বৃত্তরা হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। এ ঘটনায় জাফর আলী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে মামলাটি উভয় পক্ষের সম্মতিতে নিষ্পত্তি হলে স্ত্রী পুনরায় স্বামীর ভিটায় ফিরে আসে। কিন্তু কিছু দিন যেত না যেতেই আবারো স্ত্রী আনোয়ারা পুরোনো প্রেমিকের সাথে পরকীয়ায় মত্ত হয়ে ওঠে। এ সময় সে স্বামীর গৃহে থাকা নগদ অর্থ ও সোনার গয়না নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় জাফর আলী স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। তারই জের ধরে গত শুক্রবার স্ত্রী আনোয়ারার পরিবারের সদস্যরা বাড়ান্দী গ্রামে অবস্থান  নেয়। গভীর রাতে প্রতিবেশী এক আত্মীয়ের সহায়তায় জাফর আলীর ঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তার ওপর নির্মম নির্যাতন চালায়। জাফর আলী চিৎকার দিলে তার মুখ বেঁধে শ্বশুর কুলের আত্মীয় আশাদুল (৪৫), আইজেল মণ্ডলের ছেলে কওসার আলী (৩৫), রাহাজদ্দিনের ছেলে নওশের (৪০) তাকে শাসিয়ে বলে আনোয়ারার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা দ্রুত তুলে নিতে। না নিলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে।