চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলে খেলাধুলার বাৎসরিক ক্যালেন্ডার করে তা যথাযথ বাস্তবায়ন করার পাশাপাশি নারীদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করবো : মাহবুল ইসলাম সেলিম

স্টাফ রিপোর্টার: ১৯৯৫-৯৬ সাল। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সুবাদে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে বসবাস শুরু হয়। মফস্বল জেলা থেকে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সে পরিবেশে মেশা খুব সহজ ব্যাপার ছিলো না। তবে সহজেই সে পথটি উন্মোচন হয়ে যায় আন্তঃহল ব্যাডমিন্টন খেলার মধ্যদিয়ে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ওয়ায়িজ ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় নাম দিয়ে দেন এক রুমমেট বড় ভাই। শুরু হলো প্রতিযোগিতা। ১৫ দিনব্যাপি অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় সকলকে পেছনে ফেলে একেবারে ফাইনালে উন্নীত। তবে ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন না হতে পারলেও রানারআপ হয়ে শুধু আন্তঃহল নয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়লো নাম। সে নামটি আর কেউ নয় চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাহবুল ইসলাম সেলিম। সেই যে ক্রীড়াঙ্গনে নিজেকে মেলে ধরা, তারপর থেকে আন্তঃহল ও বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক বিভিন্ন খেলাধুলা ও প্রতিযোগিতার পাশাপাশি সংগঠক হিসেবে কাজ করতে থাকেন তিনি। ১৯৯৯-২০০০ সালে অনার্স-মার্স্টাস শেষ করে চুয়াডাঙ্গায় ফিরে আলমডাঙ্গার গোকুলখালীতে ডা. আফছার উদ্দিন কলেজে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এর পাশাপাশি ব্যাডমিন্টন ও ফুটবল নিয়ে নিজ জেলার বিভিন্ন লিগ-টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের পথ ধরে বেশ কয়েকটি ক্রীড়া সংগঠনের উচ্চ পদে সমাসীন হন। চুয়াডাঙ্গা জেলা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক, চুয়াডাঙ্গা মর্নিংস্টার ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক (সাবেক), শুভ সকাল ক্লাবের সভাপতিসহ বিভিন্ন খেলাধুলা পরিচালনায় সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তার তত্ত্বাবধানে যে সকল প্রতিযোগিতায় শিরোপা অর্জিত হয় সেগুলো হলো: ২০১৩-১৪ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত একক ও দ্বৈত ব্যাডমিন্টনে মর্নিংস্টার ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন করানো। ২০১৩/১৪ সেশনে দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে রানারআপ। একই বছর শুভ সকাল ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে প্রথম বিভাগ ফুটবললিগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন। এছাড়া ফরিদপুর জেলার নুরুমিয়া গোল্ডকাপ ফুটবলে  কৃতিত্বের সাথে অংশগ্রহণ, রাজবাড়ির রহরপুর ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন, পাবনা হরিপুর ফুটবল টুর্নামেন্টে রানারআপ, পঞ্চগড় ও দিনাজপুরের ফুলবাড়ি ফুটবল টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালে উন্নীত, মেহেরপুর জেলার আমঝুপি ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার চিৎলা-গোবিনহুদা ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন, দামুড়হুদার ৮ শহীদ স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে রানারআপ, জীবননগর উথলীর অ্যাড. বিপ্লব স্মৃতি ফুটবলে রানারআপ ও বেলগাছি ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

ফুটবল প্রতিযোগিতায় দেশ-বিদেশের নামি-দামি তারকা ফুটবলাদের চুয়াডাঙ্গার মাটিতে নিয়ে এসে ফুটবল শৈলী প্রদর্শনে যার জুড়ি নেই। জেলা ক্রীড়া সংস্থার আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ভোটারদের রায় পাওয়ার জন্য তিনি সকলের নিকট দোয়া কামনা করেছেন। সেই সাথে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, আমি নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম চুয়াডাঙ্গার খেলাধুলার সার্বিক উন্নয়নের জন্য বছরের শুরুতে একটি ক্যালেন্ডার (বর্ষপঞ্জি) তৈরি করে তা যথাযথ বাস্তবায়ন করব। যেখানে যে ব্যক্তি যে খেলায় পারদর্শী তাকে সে খেলার দায়িত্ব দিয়ে তাকে সম্মানিত করার পাশাপাশি খেলার সার্বিক মানন্নোয়নে কাজ করা হবে। খেলার যোগ্যতার মাপকাঠিতে বিচার করা হবে। সংশ্লিষ্ট খেলা বিষয়ে উপকমিটি তৈরি করে তাদের ওপর দায়িত্ব দেয়া হবে। খেলাধুলায় ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরকেও সমানভাবে সম্পৃক্ত করা হবে। এছাড়া বছরের শুরু থেকে ক্রীড়া উন্নয়ন পরিকল্পণা নিয়ে ক্রিকেট, ফুটবল, হকিসহ সকল ধরনের খেলায় অনূর্ধ-১২, ১৪, ১৬ বছরের খেলোয়াড়দের আকৃষ্ঠ করে তাদেরকে মাদকের কালো থাবা থেকে দূরে রাখার পরিকল্পণা করা হবে। সর্বোপরি জেলা সকল খেলাধুলার মানন্নোয়ন করে চুয়াডাঙ্গা ক্রীড়াঙ্গনের অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।