দুই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে দেবর-ভাবীর লড়াই

 

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দেবর ও ভাবীর লড়াই শুরু হয়েছে। ইউনিয়ন দুটি হলো সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ও কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়ন। দেবরদের পিছনে ফেলে দুই ভাবী আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক পেয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। আর দলীয় প্রতীক না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে মাঠে লড়ছেন দুই দেবর। চতুর্থ দফায় আগামী ৭ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কুষ্টিয়ার এ দুই উপজেলায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়ার জন্য বর্তমান চেয়ারম্যান এম মোস্তাক হোসেন মাসুদের নাম প্রস্তাব করে কেন্দ্রে পাঠানো হয়। প্রয়াত জাসদ নেতা এম মাহমুদ হোসেন সাচ্চুর স্ত্রী শম্পা মাহমুদের নামও ছিলো ওই তালিকায়। তবে মোস্তাক হোসেন মাসুদকে আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ নেতা সমর্থন দিলেও শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন পান জাসদ নেতার স্ত্রী শম্পা মাহমুদ।

অবশ্য কয়েক মাস আগে শম্পা আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। তবে দলে তার কোনো পদ নেই। শম্পার স্বামী এম মাহমুদ হোসেন সাচ্চু একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন তিনি। শম্পা মাহমুদ জানান, নেত্রী আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। নির্বাচনে এলাকার মানুষ আমার পক্ষে কাজ করছে। দেবর প্রার্থী হলেও তাকে পরাজিত করে জয় ছিনিয়ে আনার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।

বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মোস্তাক হোসেন মাসুদ বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে আমার নাম নেই। তারপরও দলীয় নেতারা আমার নাম প্রস্তাব করে ঢাকায় পাঠান। মনোনয়ন পেয়েছেন আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রী। তারপরও এলাকার মানুষ আমাকে চাই। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমিই জয়ী হবো।

এদিকে কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন দেবর ও ভাবী। এ ইউনিয়ন থেকে দলীয় মনোনয়ন চান জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম স্বপন। স্বপনের পরিবর্তে তার প্রয়াত বড় ভাই একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জামিল হোসেন বাচ্চুর স্ত্রী সাদিয়া জামিল কনা দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন।

আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে তার নাম নেই। তার স্বামী আওয়ামী লীগ নেতা বাচ্চু কয়েক বছর আগে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নিহত হন। এদিকে মনোনয়ন না পেয়ে চেয়ারম্যান পদে জিয়াউল ইসলাম স্বপন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন।

সাদিয়া জামিল কনা জানান, দলের নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তারপরও আমার দেবর বিরোধিতা করে প্রার্থী হয়েছে। সাধারণ মানুষ আমাকেই জয়ী করবে বলে আশা করছি। বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী জিয়াউল ইসলাম স্বপন বলেন, আমি এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। এলাকার মানুষ আমাকেই চাই। তাই প্রার্থী হয়েছি। এটা নির্বাচন। যে কেউ প্রার্থী হতে পারে। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই চেয়ারম্যান হবে।