তিন মাসে অর্থ ফিরে পাবে বাংলাদেশ

 

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার তিন মাসেই ফিরিয়ে দেয়ার আশা করছে ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল (এএমএলসি)। তবে এ বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা দেননি এএমএলসির মহাপরিচালক জুলিয়া বাকে-আবাদ। এএমএলসির মহাপরিচালক গতকাল মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ম্যানিলার আঞ্চলিক বিচার আদালত (আরটিসি) ওই চোরাই অর্থের একাধিক তহবিল এবং ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কিম ওয়ংয়ের ফিরিয়ে দেয়া ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার সংরক্ষিত রাখার একটি সাময়িক আদেশ দিয়েছেন। ওয়ং ওই অর্থ এএমএলসির কাছে জমা দিয়েছেন। আর চোরাই অর্থের অন্য তহবিলগুলো গত ১ মার্চ আপিল আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী জব্দ (ফ্রিজ) করেছে এএমএলসি।

সাময়িক আদেশটি ২০ দিন বহাল থাকবে। আর এ সময়ের মধ্যে আদালত সংক্ষিপ্ত শুনানির দিন নির্ধারণ করবেন। ওই অর্থ সংরক্ষণের একটি স্থায়ী আদেশ দেয়া হবে কি-না, তা ওই শুনানির পরই চূড়ান্ত হবে। এএমএলসির মহাপরিচালক জুলিয়া বাকে-আবাদ বলেন, তিন মাস পরে ওই চোরাই অর্থের পুরোটা এএমএলসির মাধ্যমে বাজেয়াপ্ত করে অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব হবে। এ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কেউ ফিলিপাইনের আদালতে কোনো মামলা করেনি। আবাদ আশা করেন, নির্ধারিত সময়েই (তিন মাস) কাজটা সম্পন্ন হয়ে যাবে। কারণ এ বিষয়ে কেউ বিরোধিতা করবে বলে মনে হচ্ছে না। তাই একতরফাভাবেই সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপনের সুযোগ দেবেন আদালত। ফলে পুরো প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করা সম্ভব হবে।

ফিলিপাইনের অর্থ বাজেয়াপ্তকরণ আইন অনুযায়ী, এ মামলায় কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন (এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার) সেই অর্থ দাবি করে আবেদন করতে পারে। সেটা যাচাই করার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পৃথক আদেশে ওই অর্থ হস্তান্তরের অনুমতি দিতে পারেন। এদিকে ফিলিপাইনের সিনেট কমিটির প্রধান তৃতীয় তেওফিস্তো গুইংগোনা বলেন, সিনেট কমিটি আরও ৪ কোটি ৮০ লাখ পেসোর (ফিলিপাইনের মুদ্রা) খোঁজ পেয়েছে, যা ওই চোরাই অর্থের অংশ এবং ফিলিপাইন অ্যামিউজমেন্ট অ্যান্ড গেমিং করপোরেশনের কাছে গেছে। ফিলিপাইনের কংগ্রেসে বাজেট আইন চালু করার পরই এ অর্থ বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে।