আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা উপজেলার ৬৭৫ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ-সার ও আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। খরিপ মরসুমে উফশি ও নেরিকা আউশ আবাদ বৃদ্ধির প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় এ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সহায়তা ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের হাতে তুলে দেন। এ সময় তিনি বলেন- কৃষিখাতকে কিভাবে আরও বেশি সমৃদ্ধ করা যায়, কীভাবে আরও বেশি জনপ্রিয় করা যায়, আরও বেশি লাভজনক করা যায়, তার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিতে ভর্তুকি দিচ্ছে। প্রত্যেক কৃষককে মাত্র ১০ টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যেমে এ ভর্তুকি প্রদান করছে। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয় এই কল্যাণকর দপ্তর ম্যাডাম খালেদা জিয়া একদিন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তার বলেছিলেন, কৃষিতে ফসল ভালো না হলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে আপনারা আলু আর কপি খান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম। উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে কৃষি উপকরণ বিতরণের অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম হাসিবুল হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শাহ আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা, প্রাণিসম্পাদ কর্মকর্তা ডা. আহম শামীমুজ্জামান, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জেডএম দেদার। উপসহকারী কৃষি অফিসার আহসানুল হক শাহীনের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক কাজী রবিউল ইসলাম, নাগদাহ ইউপি চেয়ারম্যান দারুস-সালাম, আওয়ামী লীগ নেতা আ. রাজ্জাক, কাউন্সিলর জাইদুল ইসলাম, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সাহিদা ইসলাম, মোমেনা খাতুন, আনজিরা খাতুন, কৃষক ওয়াজেদ আলী, জিল্লুর রহমান মেম্বার, আনোয়ার, কলম জোয়ার্দ্দার, বজলুর রহমান, মুক্তার আলী, উপসহকারী উদ্ভিত সংরক্ষণ অফিসার আসহাব-উল-হক, উপসহকারী কৃষি অফিসার শহিদুল আলম, খালিদ সাইফুল্লাহ, হাফিজুর রহমান, জাইদুল ইসলাম। পরে উপজেলার ৬০০ জন কৃষকের মাঝে উফশি আউশ ও ৭৫ জন কৃষকের মঝে নেরিকা আউশসহ বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ হিসেবে সার, বীজ, ও টাকা তুলে দেন।