মনজুর আলম: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়নের পৃথক দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং একজন করে সহকারী শিক্ষক দিয়ে চলছে স্কুলের পাঠদানের কার্যক্রম। ফলে দুটি প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের কার্যক্রম নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। স্কুল দুটি হলো-৭৫ নং শালকুপা এবং ১০১ নং পূর্ব তেঁতুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
শালকুপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রিয়াজুল ইসলাম জানান, স্কুলটি ১৯৫৬ সালে গ্রামবাসীর প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক আত্তাব উদ্দিন ও অন্য শিক্ষক আবসরে যাওয়ার পর শিক্ষক এলেও বদলি হয়ে অন্যত্রে চলে যান। তিনি আরো জানান, অনেক সময় তাকে অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। তখন সহকারী শিক্ষক শাহ মো. কামাল আহমেদকে একা ক্লাস নেয়াসহ প্রতিষ্ঠান সামলাতে হয়। স্কুলটিতে বর্তমানে ১৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মুন্সি জানান, স্কুলের শিক্ষক সঙ্কট সম্পর্কে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি বলে অভিযোগ করেন। তিনি আরো জানান, স্কুলে শিক্ষক এলেও কয়েক মাসের মধ্যে বদলি নিয়ে শহরের স্কুলে চলে যান।
অন্য স্কুলটি হচ্ছে ইউনিয়নের ১০১ নং পূর্ব তেঁতুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খালেদা খাতুন জানান, স্কুলটি ১৯৭১ সালে গ্রামবাসীর প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন ও অন্য শিক্ষক আবসরে যাওয়ার পর শিক্ষক এলেও তারা বেশি দিন স্থায়ী হননি। স্কুলটিতে বর্তমানে ১৬৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তিনি আরো জানান, নিপা বিশ্বাস, মাহমুদা সিদ্দিকী নামের দুজন সহকারী শিক্ষক রয়েছেন। তার মধ্যে মাহমুদা সিদ্দিকী মার্তৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন। অনেক সময় তাকে অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। তখন সহকারী শিক্ষক নিপা বিশ্বাসকে একাই ক্লাস নেয়াসহ প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কাজ করতে হয়।
প্রতিষ্ঠানের সভাপ্রতি হাফিজুর রহমান জোয়ার্দ্দার জানান, স্কুলের শিক্ষক সঙ্কট সম্পর্কে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও কোনো লাভ হয়নি বলে অভিযোগ করেন। তিনি আরো জানান, স্কুলে শিক্ষক এলেও কয়েক মাসের মধ্যে বদলি নিয়ে শহরের স্কুলে চলে যান। মনে হয় সকল শিক্ষকই শহরের স্কুলগুলোতে চাকরি করতে চান।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদ কবির জানান, ওই দুটি স্কুল সম্পর্কে আবগত করা হয়েছে। দ্রুত একটা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।