স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আকাশে দিনের অধিকাংশ সময়ই মেঘের ঘনঘটা ছিলো। তীব্র খরায় মেঘগুলো বৃষ্টি না ঝরিয়ে অনেকটা মায়াবি না না, অমাইক আচরণ করে চলে গেলো মেঘালয়ে। মেঘের ঘনঘটায় ব্যারোমিটারের পারদ কমেছে আরো। অথচ অস্বস্তির মাত্রা ছিলো আগের মতোই। দেদারছে ঘেমেছে মানুষ। কেন? ভূপরিমণ্ডলের বাষ্পের মাত্রা বেশি থাকায় বাতাসের ঘনত্ব বেড়ে হাঁসফাঁস পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সেই অবস্থার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাবাসী।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ছিলো ৩৫ দশমিক ৫ ও সর্বনিম্ন ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিলেটে ৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো রংপুরে ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ মরসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। বগুড়া, যশোর, কুষ্টিয়া ও কুমিল্লা অঞ্চলসহ সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও ঢাকা বিভাগের দু এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তাপপ্রবাহ খুলনা, যশোর ও সাতক্ষীরা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। ঢাকায় বাতাসের গতি, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১৫ কিলোমিটার বয়ে যাচ্ছে।