চুয়াডাঙ্গার ছোটসলুয়া গ্রামে ৯ বছর পর স্পট মিটারিঙের মাধ্যমে ১৩১ জন গ্রাহক পেলেন পল্লী বিদ্যুতের মিটার ও সংযোগ

 

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার ছোটসলুয়া গ্রামে ৯ বছর পর স্পট মিটারিঙের মাধ্যমে ১৩১ জন গ্রাহক পেলেন পল্লী বিদ্যুতের মিটার। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ঘরে বিজলি বাতি জ্বলতে দেখে অনেকেরই মুখে ফুটে উঠেছে তৃপ্তির হাসি। বাদপড়া গ্রাহকদের মিটার ও বিদ্যুত সংযোগ পেতে কোনো প্রকার হয়রানি হতে হবে না এমনি প্রতিশ্রুতি দিলেন সংশ্লিষ্টরা।

২০০৭ সালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোটসলুয়া গ্রামের বিলপাড়াসহ সাধারণ মানুষকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনতে পোতা হয় পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি। টাঙানো হয় তার। বিজলি বাতির আলো পাওয়ার আনন্দে গ্রাহকরা পয়সা খরচ করে শেষও করেন ওয়্যারিঙের কাজ। এরপর শুধু বিদ্যুত আসার প্রতীক্ষা। বিদ্যুত আসে। বিভিন্ন জটিলতার কারণে অনেকেই সংযোগ নিতে ব্যর্থ হন। ধারকর্য করে শর্তসাপেক্ষে সাইড লাইন নিয়ে অনেকই ঘরে জ্বালান বিজলী বাতি। অপর দিকে বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে বেশ কিছুদিন নতুন সংযোগ দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। আবার উচ্চমূল্যে ট্রান্সমিটার কিনে কেউ কেউ নেন বিদ্যুত সংযোগ। সাধ ও সাধ্য না থাকায় সেই যে ৯ বছর আগে বিদ্যুত পাওয়ার যে প্রতীক্ষা শুরু হয়েছিলো, তা আজও শেষ হয়নি বিলপাড়ার ৩৫টি পরিবারসহ অনেকের। আলোর অপেক্ষায় সমস্ত আয়োজন শেষ হলেও ট্রান্সমিটার আর মিটারের ব্যবস্থা করতে পারেনি অনেক পরিবার। বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধি করে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে চালু হয় স্পট মিটারিং কার্যক্রম। অবশেষে গতকাল সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রামের বিলপাড়াসহ ১৩১ জন গ্রাহককে এ পদ্ধতিতে দেয়া হয় পল্লী বিদ্যুতের মিটারসহ সংযোগ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পল্লী বিদ্যুত বিভাগের এজিএম মনিরুল ইসলাম, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার সাইদুর রহমান, ওয়েরিং পরিদর্শক শহিদুর রহমান, ইলেকট্রিশিয়ান শাজাহান প্রমুখ।