গাংনীর ৯টি ইউনিয়নে ৪৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৪৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। গতকাল সোমবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে ১৩ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২৯ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৬ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। তবে বিএনপিতে তেমন কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী না থাকলেও প্রতিটি ইউপিতে আওয়ামী লীগের একাধিক বিদোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে তেঁতুলবাড়িয়া ইউপির আব্দুস সাত্তার, কাজিপুর ইউপির নাজিম উদ্দীন ও আব্দুর রউফ, বামন্দী ইউপির আব্দুল আওয়াল ও জাহাঙ্গীর আলম, মটমুড়া ইউপির মনিরুজ্জামান আতু ও মাসুদ পারভেজ, ষোলটাকা ইউপির কামরুল ইসলাম, আল হেলাল ও কামরুজ্জামান, সাহারবাটি ইউপির মনিরুল ইসলাম ও ছানারুল ইসলাম এবং ধানখোলা ইউপির শওকত আলী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

এদিকে প্রত্যাহার করা প্রার্থীদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ছিলো বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুল আওয়ালের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের বিষয়টি। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে আওয়ালের সমর্থকরা বামন্দীতে দু দফা বিক্ষোভ মিছিল করে। প্রত্যাহার প্রসঙ্গে আব্দুল আওয়াল বলেন, জেলা বিএনপির সভাপতির বিরোধিতা কারণে তিনি মনোনয়ন পাননি। কিন্তু দু দফা বিজয়ী হয়ে তিনি প্রায় ১৪ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এলাকার নেতাকর্মী সমর্থকদের ব্যাপক চাপ থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন বলে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছন বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম। এদিকে গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিদ্রোহী কিংবা স্বতন্ত্রপ্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। নৌকা প্রতীক প্রাপ্ত প্রার্থীদের পাশাপাশি প্রতিটি ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মাঠে রয়ে গেছেন। অন্যদিকে বিএনপির তেমন কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। তাই স্বাভাবিকভাবেই ভোটের মাঠে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীরা।

আগামি ৭ মে এ উপজেলার ৯টি ইউপিতে একই সাথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়ে। গতকাল চূড়ান্ত প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রস্তুত করেছেন রিটার্নিং অফিসার। আজ মঙ্গলবার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। এরপর থেকেই মূলত শুরু হবে ভোটের মূল লড়াই।