শৌচাগার নির্মাণে বাঁশ ব্যবহার : প্রকৌশলী ও ঠিকাদার গ্রেফতার

 

স্টাফ রিপোর্টার: গাইবান্ধায় স্কুলের শৌচাগার (ওয়াসব্লক) নির্মাণ কাজে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহারের অভিযোগে গতকাল বুধবার বিকেলে সংশ্লিষ্ট কাজের তদারকিতে থাকা জেলা জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফ বিল্লাহ ও ওই কাজের ঠিকাদার আব্দুল খালেককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মেহেদী হাসান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত টিম তদন্ত কাজ শেষে উপ সহকারী প্রকৌশলী আরিফ বিল্লাহ এবং ঠিকাদার আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পান।

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় বুধবার বিকেলে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. জাকারিয়া বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম চৌধুরী জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রংপুর অঞ্চলের কর্মকর্তারা ওই প্রকৌশলী ও ঠিকাদারকে নিয়ে বুধবার ঘটনাস্থল গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের মেঘডুমুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাদের গাইবান্ধা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গাইবান্ধা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মেঘডুমুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শৌচাগার (ওয়াশবক) নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় আট লাখ ৫০ হাজার টাকা। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ঠিকাদার আব্দুল খালেক ওই নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পান। গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত ওই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহারের জন্য এটির নির্মাণ কাজ চলছিলো। নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন ঢালাইয়ের কাজে দশ থেকে বার মিলিমিটার লোহার রড ব্যবহার করতে হবে এবং কাজ দিনে করার কথা। কিন্তু ঠিকাদার রডের পরিবর্তে চিকন বাঁশ ও বাঁশের কঞ্চি ব্যবহারের জন্য রাতের অন্ধকারে ঢালাইয়ের কাজ করেন। রাতে কাজ করার কারণে এলাকাবাসির সন্দেহ হয়। তাই ঘটনাটি রামচন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে জানানো হয়। তাদের উপস্থিতিতে গত ৮ এপ্রিল শৌচাগারের ঢালাইকরা একটি জানালা ও একটি দরজার উপরের অংশ (লিনটন) ভাঙা হলে চিকন বাঁশ পাওয়া যায়।