গাংনী প্রতিনিধি: বিবাদমান দুপক্ষের বিরোধ মীমাংসার বদলে নতুন করে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। সালিশ বৈঠকে দুপক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ সাতজন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে মেহেরপুর গাংনী শহরের শিশিরপাড়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আসাদুল ইসলাম (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে শিশিরপাড়া গ্রামের আজিজুল ইসলাম (৬০) ও তার ছেলে জামাল উদ্দীন (৪৫) এবং মিজানুর রহমান মিজান (৪০), আব্দুল হক (৫৮) ও তার জামাতা আসাদুল ইসলাম (৪৫), মেয়ে দেলেয়ারা খাতুন (৩৫) ও বানুয়ারা খাতুনকে (৩০) গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, শিশিরপাড়া গ্রামের আজিজুল হকের জামাই একই গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে আমিরুল ইসলাম দ্বিতীয় বিয়ে করলে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই চলছিলো পারিবারিক অশান্তি। কোনো স্ত্রীকে কীভাবে দেখাশোনা করবেন তা নিয়ে বেশ ঝামেলায় ছিলেন আমিরুল। দুই স্ত্রীকে সমান অধিকার দেয়ার বিষয়ে গ্রাম্য সালিশ সভায় সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত অমান্য করেন আমিরুল। এ নিয়ে গাংনী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর (শিশিরপাড়া) মিজানুর রহমানের মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য গতকাল সালিশ বৈঠক চলছিলো। শিশিরপাড়া মোড়ে কাউন্সিলরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওই সালিশে উপস্থিত ছিলেন উভয় পক্ষের পারিবারিক সদস্যরা। সালিশে উচ্চবাচ্য ও বাকবিতণ্ডার এক পর্যায় উভয় পক্ষ হাতের কাছে যে যা পাই তাই নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। করো মাথায়, কারো হাতে আবার কারো সারা শরীরে লাঠিসোটা দিয়ে পেটায়। পরে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় উভয় পক্ষের সাতজনকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আসাদুলকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকরাম হোসেন জানান, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ প্রেরণ করা হয়। আহতদের পক্ষ থেকে মামলা দিলে তা রেকর্ড করে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।