অপহরণের এক বছর পর কৌশলে বাড়ি ফিরেছে আলমডাঙ্গার স্কুলছাত্রী

বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ

ঘোলদাড়ি প্রতিনিধি: দীর্ঘ এক বছর পর কৌশলে বাড়ি ফিরেছে আলমডাঙ্গার বড় পুটিমারী গ্রামের অপহৃত স্কুলছাত্রী। তাকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ ও নির্যাতন চালানো হয়েছে। তার কৈশোর ও স্কুল জীবন যারা কেড়ে নিয়েছে তাদের বিচার চায় সে। কিন্তু দরিদ্র পিতা বিচার চেয়ে পড়েছেন বেকায়দায়। আদালতে মামলা করলেও প্রভাবশালীদের চাপে তা তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন।

বড় পুটিমারী গ্রামের স্কুলছাত্রী মুন্সিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো সে। তার অভিযোগ, বছরখানেক আগে সে রাতে নানির সঙ্গে ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে ছিলো। তিন বন্ধুর সহযোগিতায় পার্শ্ববর্তী নাগদাহ গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের ছেলে আলমগীর তাকে জোরপূর্বক বিছানা থেকে তুলে নিয়ে যায়। স্কুলছাত্রীর (১৩)  পিতা তার কোনো খোঁজ না পেয়ে স্থানীয় জেহালা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকনের কাছে অভিযোগ করেন। পরে থানায়ও অভিযোগ করা হয়। তাতেও মেয়ের খোঁজ না পেয়ে তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু প্রভাবশালীদের চাপে আদালতের মামলা তিনি তুলে নিতে বাধ্য হন। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন পিতা। এরই মধ্যে সম্প্রতি কৌশলে পালিয়ে বাড়ি ফিরেছে অপহৃত স্কুলছাত্রী। সে বলেছে, ‘ভোলারদাড়ি গ্রামের জুয়েল ও শরিফুল এবং নাগদাহ গ্রামের জাহাঙ্গীরের সহযোগিতায় আলমগীর আমাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে এক বছর ধরে শুধু ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছে। যারা আমার কৈশোর ছিনিয়ে নিয়েছে, যারা আমার লেখাপড়া নষ্ট করেছে, যে আমার সর্বনাশ করেছে তাদের সবার বিচার চাই।’ এ ব্যাপারে স্থানীয় জেহালা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল হক রোকন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, স্কুলছাত্রীর পিতা গরিব বলে প্রভাবশালীদের চাপের কারণে তিনি বিচার পাচ্ছেন না।’ স্কুলছাত্রীর পিতা বলেছেন, ‘মেয়ে ফিরে এসে ধর্ষণ ও নির্যাতনের যে বর্ণনা দিচ্ছে তা পিতা হয়ে সহ্য করতে পারছি না। মামলা করবো, কিন্তু অভিযুক্তদের হুমকি ধামকির কারণে ভয় পাচ্ছি।’