কমিটি বাদেই দর্শনা মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে ৩ বছর
দর্শনা অফিস: জেলার ঐহিত্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দর্শনা মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। গৌরবময় শতবর্ষ পেরুলে কয়েকদিন আগে। নানাভাবে এ বিদ্যালয়টি পরিচালনা পর্ষদ বিহীন পরিচালিত হচ্ছে টানা ৩ বছর। অভিভাবক বিহীন বিদ্যালয়টির প্রশাসনিক ব্যবস্থা নড়বড়ে থাকায় শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে দ্বন্দ্ব-ফ্যাসাদ রয়েছে অব্যাহত। শিক্ষকদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি রীতিমতো নিন্দার ঝড় তুলেছে।
জানা গেছে, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ গঠনের ক্ষেত্রে দাতা সদস্য নির্ধারণকে কেন্দ্র করে জটিলতার সৃস্টি হয়। এ নিয়ে ২০১৩ সালের ১৩ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা আদালতে মামলা দায়ের করেন মেমনগরের মোমিনুল ইসলাম ও মোশাররফ হোসেন। ফলে কমিটি গঠন স্থগিতাদেশ দেন আদালত। সে থেকেই পরিচালনা পর্ষদ ছাড়াই বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যে কারণে প্রশাসিক ব্যবস্থা পুরোদমেই ভেঙে পড়েছে। প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন আহম্মেদের অদক্ষতার কারণেই শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিরজমান রয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ। অভিভাবক বিহীন বিদ্যালয় পরিচালিত হওয়ার কারণে প্রায় ঘটে শিক্ষক ও কর্মচারীদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা। এরই মধ্যে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাশ ভাউচারে সাক্ষর করাকে কেন্দ্র করে সহকারী শিক্ষক আব্দুল কাদের ও আবুল কাশেম মিল্টনের মধ্যে সৃষ্টি হয় দ্বন্দ্ব। দুজনের বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে একে অপরের ওপরে চেয়ার তুলে আঘাত করার চেষ্টা করলে অন্যান্য শিক্ষককরা বাধা দেয়। অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক নিজের খেয়াল খুশি মতো তার পছন্দের শিক্ষক দ্বারা ভাউচারের সাক্ষর করানোর কারণে এ দ্বন্দ্বের সৃস্টি হয়। এ কথা জানাজানি হলে অভিভাবক মহলে নিন্দার ঝড় ওঠে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি দ্রুত কমিটি গঠনের দাবি তুলেছে অভিভাবক মহল।