দর্শনায় সরকারি ভবন রডের বদলে বাঁশের কাবারি দিয়ে নির্মাণ : মামলা দায়ের কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ প্রশাসকের নেতৃত্বে পৃথক তদন্ত দলের ঘটনাস্থল পরিদর্শন

1441,0,0,0,337,256,332,2,2,200,49,0,0,100

দর্শনায় সরকারি ভবন রডের বদলে বাশের কাবারি দিয়ে নির্মাণ : মামলা দায়ের কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ প্রশাসকের নেতৃত্বে পৃথক তদন্ত দলের ঘটনাস্থল পরিদর্শন 

দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় নির্মাণাধীন উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ ভবনের অনিয়মের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলাটি করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ঢাকাস্থ সিনিয়র মনিটরিং ইনোভেলেশন অফিসার মেরিনা জেবুন্নাহার।

এদিকে গতকাল সোমবার দুটি পৃথক তদন্তদল সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান (পরিকল্পনা) মাহবুবুল হক পাটোয়ারীর নেতৃত্বে একটি দল বিকেলে পরিদর্শনে আসেন। এছাড়া জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজুর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের আরও একটি দল পরিদর্শন করেন। সেই সাথে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে আরও একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান মাহবুবুল হকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এ সময় ভবনের পেছন থেকে ২০টি বাঁশের কাঠি উদ্ধার করা হয়। তবে ক্যমেরার সামনে কথা বলতে রাজি হয়নি বাঁশের কাঠি উদ্ধারকারীরা।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজুর নেতৃত্বে ৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল বেলা ১১টায় সরেজমিন পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন ইঞ্জিনিয়াররা দেখছে দেখার পরে বিস্তারিত বলা যাবে। এদিকে ভবন নির্মাণে অনিয়মের বিরুদ্ধে ঢাকা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সিনিয়র মনিটরিং ইনোভেলেশন অফিসার মেরিনা জেবুন্নাহার বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠনের মালিক ঠিকাদার মনি শিংসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে দর্শনা পৌরসভার পেছনে প্রায় ১ বিঘা জমির ওপর ২ কোটি ৪১ লাখ  টাকা ব্যয়ে দ্বিতল ভবনে লোহার রডের বদলে বাঁশের কাবারি দিয়ে নির্মাণ কাজ করার অভিযোগ উঠে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও মেলে। পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর দেশ জুড়ে প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এরপর দফায় দফায় হচ্ছে তদন্ত। রডের বদলে বাঁশের কাবারি দেয়ার বিষয়টি নানাভাবে আড়ালেরও চেষ্টা চলছে। কোনো কোনো তদন্ত দল অভিযোগের সত্যতা নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। এ নিয়েও বিরূপ সমালোচনা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।

জানা গেছে, গত ডিসেম্বরে শুরু হওয়া ভবনটি আগামী জুনমাসে নির্মাণ শেষ হওয়ার কথা। ওই ভবনে রডের বদলে বাঁশ এবং খোয়ার বদলে সুরকি ব্যবহারের অভিযোগ উত্থাপনের পর শুরু হয় তদন্ত। গণমাধ্যমে উঠে আসে নজিরবিহীন দুর্নীতির সংবাদ। এবার হলো মামলা।

অপরদিকে গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ইঞ্জিনিয়ার্স কনসোর্টিয়ামের এ অবস্থান তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সাত্তার।

লিখিত বক্তব্যে আবদুস সাত্তার বলেন, বাংলাদেশ ফাইটো স্যানিটারি শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের অধীনে দর্শনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের এ ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের অধীনে এ ধরনের ভবন নির্মাণে আমরা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে স্থানীয় নির্মাণসামগ্রী সরবরাহকারীদের বিরোধ থেকে এ ঘটনা সাজানো হয়েছে। বাস্তবের সাথে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ঘটনার কোনো মিল নেই।