দামুড়হুদায় অনুমতি ছাড়াই নিয়ম বহির্ভূতভাবে গভীর নলকুপ স্থাপনের অপচেষ্টা : সেচ কমিটির সভায় স্থগিত ঘোষণা : তদন্ত কমিটি গঠন

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার পীরপুরকুল্লাহ বর্ডার মাঠে সেচ কমিটির অনুমতি ছাড়াই নিয়ম বহির্ভূতভাবে দুটি গভীর নলকুপ স্থাপনের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আরামডাঙ্গা গ্রামের আনিসুর এবং ঠাকুরপুরের আশাদুল এ দুজন ওই মাঠে পূর্ব থেকে বসানো অন্য দুটি গভীর নলকুপের মাঝখানে নুতন করে গভীর নলকুপ বসানোর কাজ শুরু করেছে বলে অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন। গতকাল শনিবার দামুড়হুদা উপজেলা সেচ কমিটির সভায় ওই মাঠে নুতন করে গভীর নলকুপ স্থাপন সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি। এ দিকে প্রচণ্ড খরায় ওই মাঠের প্রায় দেড়শ বিঘা জমির ধান সেচের অভাবে বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিধায় ওই মাঠে যারা আগে গভীর নলকুপ স্থাপন করেছে তাদের সেচ কাজ পরিচালনার অনুমতি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোরদাবি জানিয়েছেন এলাকার ভুক্তভোগী চাষিরা।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পীরপুরকুল্লাহ বর্ডার মাঠে পীরপুরকুল্লাহ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম এবং ঠাকুরপুরের মিঠু সম্প্রতি এলাকার ৩৬ জন সদস্য নিয়ে সেচ কমিটির নিয়মানুযায়ী ২১৫০ ফুট দূরুত্ব বজায় রেখে দুটি গভীর নলকুপ স্থাপন করে। স্থাপিত ওই নলকুপ দুটি ইতোমধ্যেই উপজেলা সেচ কমিটির পক্ষ থেকে পরিদর্শনও করা হয়েছে। গত শুক্রবার একই মাঠে আরামডাঙ্গা গ্রামের আনিসুর এবং ঠাকুরপুরের আশাদুল এ দুজন সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক চিন্তা থেকেই সেচ কমিটির অনুমতি ছাড়াই নিয়ম বহির্ভূতভাবে পূর্ব থেকে বসানো অপর দুটি গভীর নলকুপের মাঝে মাত্র ৩শ ফুট দুরুত্বে নুতন করে দুটি গভীর নলকুপ স্থাপনের কাজ শুরু করে। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার সকালে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ওই মাঠে নুতন করে গভীর নলকুপ স্থাপন সাময়িক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সেচ কমিটির সদস্য সচিব দামুড়হুদা উপজেলা বিএডিসির (ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের) উপসহকারী প্রকৌশলী শাহজালাল আবেদীন বলেন, দুজন সেচ কমিটিকে না জানিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে গভীর নলকুপ স্থাপন করছে বলে জানা গেছে। বিধায় ওই মাঠে গভীর নলকুপ স্থাপনের অনুমতি সাময়িক স্থগিত রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সভায় ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অচিরেই তদন্ত করা হবে। তদন্ত শেষে যারা যারা নিয়ম মেনে নলকুপ স্থাপন করেছে শুধুমাত্র তাদেরই সেচ কাজ পরিচালনার অনুমতি দেয়া হবে।