জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলা সীমান্ত ইউপির এক সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি টিআর প্রকল্পের চাল ও এডিপি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। গতকাল রোববার সংশ্লিষ্ট দফতরে সীমান্ত ইউপি সদস্য ইমাদ আলীর বিরুদ্ধে প্রকল্পের চাল ও অর্থ আত্মসাতের এ অভিযোগ করা হয়। এ দিকে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ইমাদ উদ্দিন।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে উপজেলা প্রকল্প উন্নয়ন কমিটি কর্তৃক ৪ নং সীমান্ত ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদরপাড়া মহিলা মাদরাসার অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। বরাদ্দকৃত চাল উত্তলন ও নির্দিষ্ট খাতে ব্যয় করার নির্দেশ থাকলেও ইউপি সদস্য ইমাদ আলী কাউকে না জানিয়ে সম্পূর্ণ চাল আত্মসাত করেন। অন্যদিকে একই অর্থ বছরে এডিপি খাতে সদরপাড়া কারবালা উন্নয়ন বাবদ ৫৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এর মধ্যে তিনি ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেখিয়ে বাকি ২৫ হাজার টাকা আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতকারী ইউপি সদস্য ইমাদ আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সদরপাড়া পুলিশিং কমিটি ও সদরপাড়া মহিলা মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। এ ব্যপারে ইউপি সদস্য ইমাদ আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নতুনপাড়া মাদরাসার জন্য ৫৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও পাওয়া যায় ৩০ হাজার টাকা। যা প্রকল্পের কাজে ব্যয় করা হয়েছে। এছাড়া নতুনপাড়া মাদরাসার নামে ১ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দের খবর আমার জানা নেই। রাজনৈতিক কারণে একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এ অভিযোগ এনেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরুল হাফিজ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখো হচ্ছে।