বিষে নয় আতঙ্কে কাবু কলেজছাত্র হাসপাতালে

 

স্টাফ রিপোর্টার: ‘ভয়ের নাম ভয়, যতো পাবা ততোই হয়’ দামুড়হুদা দলকালক্ষ্মীপুরের ফারুক হোসেনেরও হয়েছে তাই। সাপ মারতে গিয়ে ছুটে পড়া রক্ত হাতে পড়ায় ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ায় শেষ পর্যন্ত তাকে নিতে হয়েছে হাসপাতালে। গতরাত ৯টার দিকে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। চিকিৎসক তাকে অভয় দিলে আস্বস্ত হয় সে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার জুড়ানপুর ইউনিয়নের দলকালক্ষ্মীপুরের ইস্রাফিল হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেন গোকুলখালী ডা. আফছার উদ্দীন কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। গতকাল সন্ধ্যার পর বাড়ির পাশের ঝড়ুর দোকানে বসে টিভিতে টি-টোয়েন্টে ক্রিটের ফাইনাল দেখছিলো। রাত আনুমানিক ৮টায় পথচারী একই গ্রামের মোশাবুল ও আরিফ দোকানের অদূরেই একটি সাপ দেখে চিৎকার দিয়ে ওঠে। দোকানের সকলেই ছুটে গিয়ে সাপ মারে। ফারুক হোসেন একটু কাছে গিয়ে ইট দিয়ে মারে সাপের মাথায়। রক্ত ছুটে পড়ে অক্ষত ডান হাতে। প্রথমে বিষয়টি ফারুক আমলে না নিলেও পরে একেকজনের একেক রকম ভীতিকর কথায় ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে আরিফ। কেউ বলে ওই রক্তের সাথে মিশে থাকা বিষে মৃত্যু হতে পারে। কেউ বলে দ্রুত ধুয়ে ওই পানি দিতে হবে সাপ পোড়ানো ছাইয়ে। কেউ বলে হাতে তিনদিন গবর বেধে রাখতে হবে। এসব শুনে বিভ্রান্ত হয়ে ভীতসন্ত্রস্ত ফারুক বলতে শুরু করে হাতে যন্ত্রণা শুরু হয়েছে। ব্যাস! কালবিলম্ব না করেই তাকে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে।

যখন হাসপাতালে নেয়া হয় তখন ফারুকের অবস্থা দেখে স্বয়ং চিকিৎসক সউদ কবীর জনও চমকে ওঠেন। তিনি ঘটনার বর্ণনা শোনার পর যখন বলেন, অক্ষত হাতে সাপের রক্ত দূরের কথা বিষ পড়লেও কোনো সমস্যা হয় না, হওয়ার কথা নয়। ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হওয়ার কারণেই ফারুক হাতে যন্ত্রণা অনুভব করছে। শারীরিক চিকিৎসার চেয়ে ওর মানসিক চিকিৎসাই এখন জরুরি। সে মতে চিকিৎসক তাকে নামকাওয়াস্তে স্যালাইন দেন। এতেই রোগী সুস্থ হয়ে উঠতে শুরু করে।