মিনারুলকে কুপিয়ে আহত করেছে মাসুম গ্রুপের লোকজন

 

স্টাফ রিপোর্টার: দর্শনা হল্টষ্টেশন এলাকায় গত বুধবার সন্ধ্যায় বিজিবি কর্তৃক চোরাচালান পণ্য আটক করার জের হিসেবে চোরাচালানী সিন্ডিকেট মিনারুল নামের একজনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ বিষয়ে দামুড়হুদা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এদিকে দর্শনা এলাকায় লোকজনের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে সংবাদপত্রে এ খবর যাতে প্রকাশ না হয় সে জন্য চোরাচালানী সিন্ডিকেট ৩৫ হাজার টাকাও ছড়িয়েছে স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যে। তবে কে কাকে বা কারা এ আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত তা এখনো অপ্রকাশ্যেই রয়ে গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের মাসুমসহ বেশ কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাম ভাঙিয়ে চোরাচালানীদের কাছ থেকে মাসোহারা উত্তোলন করে আসছে। ওইদিন চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন অধিনায়কের নির্দেশে দর্শনা বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টহলদল দর্শনা হল্টস্টেশন এলাকার মাসুম ও সালেহার বাড়ি তল্লাশি করে চোরাচালান পণ্য উদ্ধার করেন। এরই জের ধরে চোরাচালান সিন্ডিকেটের লোকজন ওইদিন সন্ধ্যায় দর্শনা হল্টস্টেশন মসজিদ থেকে নামাজ শেষ করে বের হয়ে আসার সময় একই গ্রামের মিনতাজ আলীর ছেলে মিনারুলকে (২৪) ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। মিনারুল বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

গ্রামবাসী জানায়, মাসুমের বাড়ি থেকে বিজিবি কর্তৃক মালামাল আটকের জের হিসেবে তাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। দর্শনা হল্টস্টেশন পুলিশের এএসআই ফজলুল হক জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আমির মজিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওইদিন হল্টস্টেশন এলাকা থেকে প্রায় ১১ লক্ষাধিক টাকার চোরাচালান পণ্য আটক করা হয় এবং তা কাস্টমসে জমা দেয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে মাসুমসহ চোরাচালান সিন্ডিকেটের লোকজন আত্মগোপন করেছে বলে এলাকাসূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় মাসুমসহ ৮/৯ জনের নামে আহত মিনারুলের পিতা মিনতাজ আলী বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এলাকাবাসীরা বলেন, হল্টস্টেশনে মাসুম নামের যে ব্যক্তি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনীর নামে মসোহারা তুলে থাকে তা এখন আর অপ্রকাশ্য কোনো বিষয় নয়। তারা আরও বলেন, জিআরপি পুলিশের এএসআই ফজুলল হকের সামনে প্রায়ই নানা ঘটনা ঘটলেও তিনি আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো মাসুম বাহিনীকেই সহযোগিতা করে থাকেন। একাধিক মামলার আসামি মাসুম একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে গেলেও তাকে কেউ কিছু করতে পারছে না।