স্টাফ রিপোর্টার: দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭৬ শতাংশ। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ৫৪ শতাংশ, বিএনপি ১৭ শতাংশ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ২৮ শতাংশ। যদিও এ পরিসংখ্যানেই রাজনৈতিক মতাদর্শের পরিমাপ করা যাবে না। এরকম মন্তব্য করে বিএনপি মনা পর্যবেক্ষকদের অনেকেই বলেছেন, বিএনপি প্রার্থীকে ভোট দিয়ে উন্নয়নের চেয়ে বিড়ম্বনাই বাড়বে ভেবেই ভোটের পরিসংখ্যান গোলমেলে হয়ে গেছে। তা না হলে অধিকাংশ ইউপিতেই আওয়ামী লীগ মনোনীতের সাথে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা কেন?
দ্বিতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিরংকুশ জয় পেয়েছে। ভোটের হিসাবে বিএনপির প্রায় তিন গুণ ভোট বেশি পেয়েছে দলটি। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত ইসিতে আসা ৫৮৪টি ইউপির ফলাফলে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এতে দেখা গেছে, চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ৪০৫টিতে, বিএনপি ৫৮টিতে, জাতীয় পার্টি ৩টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০৫টিতে জয়ী হয়েছে। বাকি ইউপিতে জয় পেয়েছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। গতকাল বৃহস্পতিবার ৬৩৯টি ইউপিতে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। অনিয়মের কারণে ৩৩টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়। ইসিতে জমা হওয়া ফলাফলে দেখা গেছে, প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় ধাপে প্রায় ২ শতাংশ ভোট বেশি পড়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ৩৩টি বাদে ৫৫১টি ইউপিতে ৯৬ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮২ ভোটারের মধ্যে ৭৩ লাখ ৪১ হাজার ৮৯৬ ভোট পড়েছে।
এ হিসাবে গড়ে ৭৬ দশমিক ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। এর মধ্যে বৈধ ভোট রয়েছে ৭১ লাখ ৯১ হাজার ৫৯৫টি ও বাতিল ভোট রয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার ৩০১টি। দলভিত্তিক ভোটে আওয়ামী লীগ প্রায় ৩৯ লাখ, বিএনপি ১৩ লাখের বেশি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ২১ লাখের বেশি ভোট পেয়েছে।
এর আগে প্রথম ধাপের নির্বাচনে ৭১২ ইউপির মধ্যে আওয়ামী লীগ ৫৪০টিতে জয়ী হয়। ওই ধাপে বিএনপি ৪৭টিতে জয় পেয়েছিলো। স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয় হয় ১০৩টিতে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৫৫১ ইউপির চেয়ারম্যান পদের পূর্ণাঙ্গ ফল পেয়েছে ইসি। এর বাইরে ৩৩ ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন একক প্রার্থীরা। বাকি ইউপিগুলোর আংশিক তথ্য এসেছে। এছাড়া ৩৩টি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ থাকায় তা পর্যালোচনা করে তথ্য সংগ্রহ করছে ইসি।