চুয়াডাঙ্গায় শান্তিপূর্ণ ইউপি নির্বাচন : নির্বাচিতদের স্বাগতম

 

চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের ৪টিসহ দেশের ৬৩৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গতপরশু। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত, সহিংসতা, জালভোট, ব্যালটবাক্স ছিনতাইসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও চুয়াডাঙ্গায় সৃষ্টি হয়েছে উদাহরণ। চমৎকার নির্বাচন উপহার দিয়েছে প্রশাসন। বিশেষ করে পুলিশের গড়ে তোলা নিরাপত্তা বেষ্টনি আর বিজিবির সাজোয়া অবস্থান ভোটার সাধারণকে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিবেশ গড়ে দেয়। বিতর্কমুক্ত, চমৎকার নির্বাচন উপহার দেয়ায় চুয়াডাঙ্গা প্রশাসন, পুলিশ ও বিজিবিসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই অভিনন্দন পাওয়ার দাবি রাখে। অভিবাদন।

ভোটার সাধারণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে ভোটার সাধারণ সঠিক ও গ্রহণযোগ্য রায়টিই দেয়। বারবার নানাভাবেই তা প্রমাণিত। যদিও পরাজিতদের তরফে কখনো কখনো অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। ভোটার সাধারণ ভোট দিতে পারলে সেই অভিযোগ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাস্যকরও হতে দেখা যায়। দেশের অন্য স্থানে প্রথম দফা নির্বাচন নিয়ে যেমন চরম বিতর্ক ছিলো, দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনও যখন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে, তখন চুয়াডাঙ্গার নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ পরিবেশ গড়ে তোলাকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখা যায় না। যদিও নির্বাচনের পরিবেশ এমনটি গড়ে তোলার দায়িত্বেরই অংশ। তারপরও বলতেই হয়- ক্ষমতার প্রভাব, পেশিশক্তি প্রয়োগে যখন বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিশুসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত হয়েছে ১০ জন, তখন চুয়াডাঙ্গায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিবেশ প্রশংসার দাবি অবশ্যই প্রাসঙ্গিক।

এবারই প্রথম রাজনৈতিক দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এতোদিন যে নির্বাচন ছিলো নির্দলীয়, সেই নির্বাচন দলীয়ভাবে করা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে যতোটা না যুক্তি, তার চেয়ে অধিক প্রশ্ন ছিলো নির্বাচনের নিরপেক্ষ পরিবেশ নিয়ে। সারাদেশে আওয়ামী লীগের জয়জয়কর। চুয়াডাঙ্গাতেও। নৌকা এবং স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থীদের কাছে বিএনপির ভরাডুবিকে নানাজন নানাভাবে নিলেও ভোটার সাধারণের রায় বর্তমান অবস্থাদৃষ্টে অযৌক্তিক বলবেন কীভাবে? নবনির্বাচিতদের  শুভেচ্ছা স্বাগতম।