স্টাফ রিপোর্টার: চৈত্রের উত্তাপ চুয়াডাঙ্গায় চড়া থাকলেও ঢাকাসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। টানা নয় দিন পর গতকাল সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে। হালকা বৃষ্টির সাথে বয়ে গেছে দমকা হাওয়া। বজ্রপাতে ময়মনসিংহের ত্রিশালে এক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও কুমিল্লায় দুজন ও হবিগঞ্জে দুজনের ও লক্ষ্মীপুরে একজন বজ্রপাতে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রংপুরের রাজারহাটে গতকাল সোমবার সকাল থেকে দুপুর বিকেল পর্যন্ত সবচেয়ে দেশের সর্বাধিক বৃষ্টিপাত ৮১ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। রংপুরে ৩০, দিনাজপুরে ২৪, কুমিল্লায় ৬৪, ফেনীতে ৫৩, সিলেটে ৩৮ ও শ্রীমঙ্গলে ৫৮, ময়মনসিংহে ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টির সাথে কালবোশাখিও আঘাত হেনেছে। ঢাকায় সবশেষ বৃষ্টি হয়েছে ১৯ মার্চ। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়, রংপুর, রাজশাহী, সিলেট, ঢাকা, খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ রাশেদুজ্জামান বলেন, মার্চ মাসে বৃষ্টি কম হওয়ায় গরম বেড়েছিলো। তবে এ বৃষ্টির ফলে গরম কমে আসবে। এপ্রিল মাসে বেশ গরম পড়তে পারে। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে বেশ কয়েকটি তাপপ্রবাহ। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঈশ্বরদীতে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। সর্বনিম্ন ছিলো রংপুরে ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় গতকাল সর্বোচ্চ ৩৩ দশমিক ৭ ও সর্বনিম্ন ২৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
কুমিল্লায় বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে জেলার দাউদকান্দি ও তিতাস উপজেলায় এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। বিকালে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিতে জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর চরমোহাম্মদী গ্রামে গোমতী নদীর পাড়ে ড্রেজারে বালি তোলার কাজ করার সময় দিনমজুর লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার দক্ষিণ জগবন্ধু গ্রামের আবদুল কাদের মিয়ার ছেলে বাবুল (২৩) বজ্রপাতে মারা যান। অপর দিকে তিতাস উপজেলার মটুপী গ্রামের ইসলাম মোল্লার ছেলে রাসেল (২১) ফসলি জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান। ময়মনসিংহের ত্রিশালে বজ্রপাতে এক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। বালিপাড়া ইউনিয়নের কাজী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনাবাহিনীর (অব.) সদস্য আতাউর রহমান (৭০) বাড়িতে কাজ করার সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসী জানায়, সদর উপজেলার চানপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুছ ছাত্তারের ছেলে আজমান মিয়া (৪০) সোমবার দুপুরে স্থানীয় শাহপুর বাজার থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে মাধবপুর উপজেলার রাজনগর গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে মিম আক্তার (৮) দুপুরে বাড়ির বারান্দায় বসেছিলো। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটস্থলেই সে মারা যায়।