মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সংরক্ষণ করছে গণকবর

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন বলেছেন, পাক হানাদার ও তাদের দোসর আল বদর-রাজাকারদের নির্যাতনে অসংখ্য স্বাধীনতাকামী মানুষ জীবন দিয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীরা আজও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার হীন অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাই কাজিপুরসহ দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা গণকবরগুলো সংরক্ষণ করতে হবে। এসব গণকবর মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বহন করছে। গতকাল রোববার দুপুরে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কাজিপুর সীমান্তের গণকবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

গাংনী উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডের উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো কাজিপুর গণকবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোন্তাজ আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ-উজ-জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, গাংনী সাবেক পৌর মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আহম্মেদ আলী, জেলা কমান্ডার বশির আহম্মেদ, ডেপুটি কমান্ডার আমিরুল ইসলাম, গাংনী সাংগঠনিক কমান্ডার নুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম শাহ, ইয়াছিন রেজা, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশ, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুজ্জামান সিপু, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি হবিবুর রহমান হবি ও সৈনিক লীগের সহসভাপতি জিয়াউল হক জিয়াসহ মুক্তিযোদ্ধা ও নেতৃবৃন্দ।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় সীমান্তবর্তী কাজিপুর গ্রামে গুলি করে ও পুড়িয়ে ইপিআর, আনছারসহ ৭ মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যা করে পাক হানাদার বাহিনী। ৭ মুক্তিযোদ্ধাকে কাজিপুর সীমান্তে গণকবরে সমাধিস্থ করা হয়। প্রতি বছর ২৭ মার্চ গণকবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড।