চাঁদাবাজি মামলায় জেলহাজতে প্রেরণ

 

উজলপুরের শিলনকে রিমান্ডে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামের পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি শিলনকে চাঁদাবাজি মামলায় আদালতে সোপর্দ করেছে দামুড়হুদা থানা পুলিশ। এদিকে শিলনকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে পুলিশ। অপরদিকে শিলন আটক হওয়ায় তার সাঙ্গপাঙ্গরা যেমন দিয়েছে গা ঢাকা তেমনি মদদদাতারা রক্ষা পাওয়ার জন্য শুরু করেছে দৌঁড়ঝাপ।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের উজলপুর গ্রামের কাশেমের ছেলে পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি শিলন বেশ কিছুদিন থেকে একটি গ্যাং গ্রুপ তৈরি করে এলাকায় ছিনতাই, চাঁদাবাজির মাধ্যমে মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিলো। সর্বশেষ সপ্তাখানেক আগে গ্রামের মৃত সিরাজুল হকের ছেলে আইনালের নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ৭দিন সময় বেধে দেয়। আইনাল বিষয়টি জানাজানি করলে শিলন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সে গ্রামের এরেং মেম্বারের ছেলে বেগমপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দীন, মজিবরের ছেলে জামাল উদ্দীন, সামসুলের ছেলে রহেদ, কুদ্দুসের ছেলে মিয়া ও মন্টুকে হত্যার হুমকিসহ আরও ২০ জনের একটি তালিকা তৈরি করে তাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিলো। গত শনিবার রাত ৯টার দিকে শিলন গ্রামের ঘরজামাই মন্টুর বাড়িতে হামলা চালালে গ্রামবাসী তাকে ধরে দর্শনা তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। এদিকে শিলন আটক হলেও তার সাঙ্গপাঙ্গরা পালিয়ে যায়। গতকাল রোববার দামুড়হুদা থানা পুলিশ শিলনকে চাঁদাবাজি মামলায় চুয়াডাঙ্গা আদালতে সোপর্দ করেছে।

গ্রামের অনেকেই অভিযোগ করে বলেছে, দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুর স্কুলপাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মাদকসম্রাট মন্টু শুধু মাদকব্যবসা করার জন্য উজলপুর গ্রামে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করে আসছে। আর এ মাদকের চালান বহন করার জন্য গ্রামের উঠতি বয়সী যুবকদের সে ব্যবহার করে থাকে। নগদ টাকা পাওয়ার আশায় মন্টুর ফেনসিডিলের চালান বহন করতে গিয়ে অনেকেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। বছর দুয়েক আগে মন্টুর ফেনসিডিলের চালান বহন করতে গিয়ে শিলন মাদক মামলার আসামি হয় বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। সেই থেকে শিলন বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিয়াকত হোসেন বলেন, শিলনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশি জিজ্ঞাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অপরদিকে মাদককারবারী মন্টুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে পরিচয় গোপন করে ফোনের লাইন কেটে দেন।