মাথাভাঙ্গা মনিটর: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটিতেও একাদশে সুযোগ হয়নি নাসির হোসেনের। কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের মতে, পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় শুভাগত হোমকেই বেশি উপযুক্ত মনে হয়েছে দলের। বিশ্বকাপে শুধু প্রথম ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন নাসির। এর আগে এশিয়া কাপেও খেলতে পেরেছিলেন শুধু ফাইনালে। বিশ্বকাপে সুপার টেনে দলের টানা হারের পরও একাদশে সুযোগ মেলেনি এক সময়ের নির্ভরযোগ্য এ অলরাউন্ডারের।
সব হারিয়ে ফেলার পর অন্তত শেষ ম্যাচে নাসিরকে দেখা যেতে পারে বলে আশা ছিল অনেকের। হয়নি সেটিও। ভারতের বিপক্ষে হারের দলটি অপরিবর্তিত রেখেই নিউজিল্যান্ড ম্যাচের একাদশ সাজায় বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেটির ব্যখ্যা চাওয়া হলেও হাথুরুসিংহে উত্তর দিলেন ছোট্ট করে। এটা নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। তারা মনে করেছে শুভাগত হয়ত আরও ভালো অলরাউন্ড পারফরমান্স দিতে পারবে। অথচ এই শুভাগত ছিলেন না বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের মূল দলে। সেখানে অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে ছিলেন নাসির। আরফাত সানি ও তাসকিন আহমেদের বোলিং নিষিদ্ধ হওয়ার পর সুযোগ পাওয়া দুজনের একজন হিসেবে ভারতে আসেন শুভাগত। খেললেন পরের তিনটি ম্যাচই। নাসিরের চেয়েও শুভাগতকে ভালো মনে হলে তাকে কেন রাখা হয়নি মূল দলে? হাথুরুসিংহের উত্তর থাকল আগের মতোই।
সেটি ভিন্ন প্রসঙ্গ। তবে এ মুহূর্তে কন্ডিশন, প্রতিপক্ষ ও উইকেটকে মাথায় রেখে আমাদের মনে হয়েছে, শুভাগত আমাদের আরও ভালো অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দিতে পারতো।