নাশকতারোধে নজিরবিহীন নিরাপত্তা

 

স্টাফ রিপোর্টার: মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আজ সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বঙ্গভবন, সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দিবসের নিরাপত্তা বিষয়ে সবগুলো সংস্থার প্রধানদের সাথে বৈঠকও করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

স্বাধীনতা দিবসে কোনোগোষ্ঠী যাতে নাশকতা চালাতে না পারে, এজন্য বাড়তি এই নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। আপদকালীন মুহূর্ত মোকাবেলায় র‌্যাবের হেলিকপ্টার প্রস্তুত থাকবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকছে অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাবসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রবেশ পথে থাকছে একাধিক আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টর। আশপাশে বসানো হবে অসংখ্য সিসি ক্যামেরা। রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধান বিচারপতি, বিচারকগণ, বিদেশি কূটনীতিক, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, নগরীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বাড়তি নিরাপত্তার পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ আরোপ থাকবে যানবাহন চলাচলের ওপর। ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে যানবাহনে তল্লাশি চালানো হবে। বসেছ শতাধিক চেকপোস্ট। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও তার আশপাশের স্থান, জাতীয় জাদুঘর, ধানমণ্ডির ঘটনাবহুল ঐতিহাসিক ৩২ নাম্বার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি, সচিবালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় থাকছে কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মহান স্বাধীনতা দিবসে সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করবে। সারাদেশেই গোয়েন্দা নজরদারি চলছে। গুরুত্ব বিবেচনা করে নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে সবগুলো সংস্থাকে।
এদিকে বঙ্গভবনের আশপাশে যানবাহন চলাচলে বিধি-নিষেধ করা হয়েছে। বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীবর্গ, সামরিক ও আধা-সামরিক, দেশি-বিদেশি কূটনীতিক, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ রাষ্ট্রপতির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। আগত অতিথিদের যানবাহন সুষ্ঠুভাবে চলাচলের জন্য বঙ্গভবনের আশপাশ এলাকায় দুপুর বারোটা থেকে বঙ্গ ভবনের অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে। জিরো পয়েন্ট থেকে গুলিস্তান আন্ডারপাস হয়ে রাজউক ক্রসিং পর্যন্ত সকল প্রকার বাণিজ্যিক যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। আহাদ বক্স থেকে ইত্তেফাক পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। আলিকো গ্যাপ থেকে দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা ও রাজউক ক্রসিং পর্যন্ত সকল প্রকার গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। পার্ক রোর্ডের উত্তর মাথা থেকে ইত্তেফাক অভিমুখী কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করবে না। দৈনিক বাংলার মোড় থেকে রাজউক অভিমুখী ও ২৪ তলা ভবন থেকে রাজউক অভিমুখী বাণিজ্যিক গাড়ি চলাচল করবে না। শুধু হানিফ ফ্লাইওভার ব্যবহারকারী যানবাহনসমূহ নির্ধারিত সড়ক দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। স্বাধীনতা দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে এসব অনুষ্ঠান সন্ধ্যার আগেই শেষ করতেও সিদ্ধান্ত হয় ওই বৈঠকে।