স্টাফ রিপোর্টার: দেশের ৮ হাজার ৪৬০টি পোস্ট অফিসে ঝুলছে তালা। এসব পোস্ট অফিসের ২৩ হাজার ২১ কর্মকর্তা-কর্মচারী ধর্মঘটে রয়েছেন। এক সপ্তাহ ধরে তাদের এ আন্দোলনে প্রত্যন্ত অঞ্চলের ডাক যোগাযোগ মাধ্যমে নেমে এসেছে বিপর্যয়। এ নিয়ে ডাক বিভাগে চলছে তোলপাড়। বিভাগীয় অফিসগুলোতে ডাকের স্তূপ জমা হয়েছে। কিন্তু ধর্মঘট থাকায় সেখান থেকে অবিভাগীয় ৮ হাজার ৪৬০টি পোস্ট অফিসে কোনো ডাক পৌঁচুচ্ছে না। কাজ করছে না পোস্টমাস্টার, পোস্টম্যান ও রানার। ফলে কোনো ধরনের চিঠিপত্র, রেজিস্ট্রি, মানিঅর্ডার, ইলেকট্রিক মানি অর্ডার বিলিসহ যাবতীয় কাজ বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় ডাক বিভাগের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন গ্রাহকরা।
এদিকে চুয়াডাঙ্গায় ডাক বিভাগে কর্মরত ইডি কর্মচারীদের বেতন সর্বনিম্ন ৫ হাজার ও সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকা করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে। বাংলাদেশ পোস্টাল ইডি কর্মচারী ইউনিয়নের ডাকে গত সোমবার থেকে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। কর্মচারীদের লাগাতার ধর্মঘটের কারণে জেলার ৭২টি ডাকঘর বন্ধ রয়েছে। এ কারণে সাধারণ মানুষ ডাকঘরে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করতে না পেরে ফিরে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পোস্টাল ইডি কর্মচারী ইউনিয়ন তাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গতকাল চুয়াডাঙ্গা জেলার কর্মচারীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা প্রধান ডাকঘরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পোস্টাল ইডি কর্মচারী ইউনিয়ন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি ঘোলদাড়ি ডাকঘরের ইডিএ ডা. আইজুদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক রামদিয়া ডাকঘরের ইউএ কলম আলী, সহসভাপতি কুমারী ডাকঘরের হাজি রবিউল ইসলাম, সহসম্পাদক সুমিরদিয়া ডাকঘরের মাহমুদুন্নবী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোকুলখালী ডাকঘরের লুৎফর রহমান প্রমুখ। বক্তারা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে কর্মচারীদের বেতন সর্বনিম্ন ৫ হাজার ও সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকায় উন্নীত করা ও দুটি উৎসব ভাতা প্রদান। সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ তাদের এ দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন। তারা ঘোষণা দিয়েছেন, এবার তাদের দাবি বাস্তবায়িত না হওয়ায় পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরবেন না। এ লক্ষ্যে তারা জেলার শাখা ডাকঘরগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।