চুয়াডাঙ্গার উজলপুরে মোবাইলফোনে ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবি : টাকা না পেয়ে ৬ জনকে হত্যার হুমকি

 

এলাকা থেকে ফিরে খাইরুজ্জামান সেতু: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার উজলপুর গ্রামে পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি শিলন মোবাইলফোনে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে একই গ্রামের আইনালের নিকট। চাঁদার টাকা দেয়ার দিন গতকাল শেষ হওয়ায় রাতভর দা নিয়ে আইনালকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে। ঘটনা প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রামের ৫ জনকে হত্যার হুমকি দিয়েছে শিলন গং।

৭দিন আগে ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের উজলপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল হকের ছেলে আইনালের নিকট মোবাইলফোনে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ৭দিন সময় বেধে দেয় একই গ্রামের কাশেমের ছেলে পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি শিলন। সে সময় চাঁদা চাওয়ার বিষয়টি আইনাল মোবাইলফোনের লাউড স্পিকারে দেয় এবং রেকর্ড করে অনেককেই শোনান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় শিলন গং। ঢাকা থেকে গত পরশু বাড়ি ফেরে শিলন। এ দিকে বেধে দেয়া সময় শেষ হয়ে গেলে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে শিলন তার লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আইনালকে খুঁজতে যায় তার বাড়িতে। এ সময় আইনাল বাড়ির পাশ্ববর্তী মাঠে ধানের জমিতে পানি দিচ্ছিলো। শিলন তার লোকজন নিয়ে মাঠে গিয়ে আইনালকে দেখে টর্চলাইট মেরে শিক দা নিয়ে তাড়া করে। জীবন বাঁচাতে আইনাল দিকবিদিক ছুটতে থাকে। আইনাল বাড়ি ফিরে লোকজন ডাকলে শিলন তার লোকজন নিয়ে মাঠ থেকে চলে আসে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে গ্রামে বসে সালিস বৈঠক। শিলনের নামে সালিস ডাকায় সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। মোবাইলফোনে গ্রাম্য মাতব্বরদের জানিয়ে দেয় আইনালের কিছু একটা না করে সে ক্ষান্ত হবে না। এছাড়াও শিলন গ্রামের এরেং মেম্বারের ছেলে বেগমপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দীন, মজিবরের ছেলে জামাল উদ্দীন, সামসুলের ছেলে রহেদ, কুদ্দুসের ছেলে মিয়া ও মন্টুকে হত্যার হুমকিসহ আরও ২০ জনের একটি তালিকা তৈরি করে তাদেরকে বিভিন্নভাবে মোবাইলফোনের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে জানা গেছে। শিলনের এমন হুমকি-ধামকিতে ৬টি পরিবারের লোকজন রয়েছে চরম আতঙ্কের মধ্যে। তবে অনেকেই অভিযোগ করে বলেছেন, নেপথ্যে সহোদর সহ স্থানীয় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কয়েক নেতার মদদ থাকায় শিলন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, শিলন পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি। তাকে ধরতে কয়েক বার অভিযানও চালানো হয়েছে। তবে অপরাধী যতোই ক্ষমতাধর হোক না কেন একদিন সেসহ মদদ দাতারা আইনের আওতায় আসবেই।