রিজার্ভ চুরি : শ্রীলঙ্কান ৬ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মাথাভাঙ্গা মনিটর: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শ্রীলঙ্কার একটি বেসরকারি ফাউন্ডেশনের ৬ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন দেশটির একটি আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ফিলিপাইনের জাতীয় দৈনিক ইনকোয়ারারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের তদন্তের পর গত সোমবার কলম্বোর চিফ ম্যাজিস্ট্রেট জিহান পিলাপিটিও ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। শ্রীলঙ্কার পুলিশ বলছে, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে চুরি যাওয়া অর্থের কিছু ওই ৬ জনের কাছে পৌঁছেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শ্রীলঙ্কার ইমিগ্রেশন বিভাগের মুখপাত্র লাকসান জয়সা বলেন, আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করা হবে।
আদালতকে দেশটির পুলিশ জানায়, গত ২৮ জানুয়ারি রাজধানী কলম্বোর একটি প্রাইভেট ব্যাংকে শ্রীলঙ্কার শালিকা ফাউন্ডেশন একটি নতুন অ্যাকাউন্ট চালু করে। এর মাত্র ৬ দিন পর ওই অ্যাকাউন্টে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার স্থানান্তর হয়। পরে ওই ব্যাংকের পক্ষ থেকে অর্থ স্থানান্তরের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে অর্থ ফেরত পাঠানো হয়।
আবারও কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ডেনিন সাসৌ
মাথাভাঙ্গা মনিটর: তৃতীয়বারের মতো কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে চলেছেন ডেনিস সাসৌ এনগুয়েসো। দেশটির নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে তিনি ৬০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৩টার দিকে কঙ্গোর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ঘোষণায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেমন্ড জেফাইরিন এমবৌলৌ এ তথ্য জানান। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গাই-ব্রাইস পারফেইট কোলেলাস এ নির্বাচনে পেয়েছেন ১৫ শতাংশ ভোট। আর জেনারেল জিন-মেরি মাইকেল মোকোকো ১৪ শতাংশ ভোট পেয়ে রয়েছেন তৃতীয় অবস্থানে। এর আগে গত বছরের অক্টোবর মাসে কঙ্গোর সংবিধান সংস্কার করা হয়। এতে এর আগে দুই মেয়াদের বেশি কোনো ব্যক্তির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করার ব্যাপারে যে বাধ্যবাধকতা ছিল, তা তুলে নেওয়া হয়।
আর এ সংস্কারের ফলে তৃতীয় মেয়াদে প্রার্থী হতে পেরেছেন ৭২ বছর বয়সী সাবেক প্যারাট্রুপার কর্নেল ডেনিস। ডেনিস সাসৌ এনগুয়েসো কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট পদে প্রথম দায়িত্ব পালন শুরু করেন ১৯৭৯ সালে। টানা এক যুগেরও বেশি সময় শাসনের পর ১৯৯২ সালের নির্বাচনে তিনি হেরে যান। এরপর ১৯৯৭ সালে আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি।
গণহত্যার দায়ে কারাদিচের ৪০ বছরের কারাদণ্ড
মাথাভাঙ্গা মনিটর: বসনিয়ায় ১৯৯২-৯৫ এর যুদ্ধের সময় গণহত্যার দায়ে ৪০ বছরের কারাদণ্ড হলো দেশটির সাবেক সার্বিয়ান নেতা রাদোভান কারাদিচের। তার বিরুদ্ধে আনা ১১টি অভিযোগের ১০টিতে প্রমাণ পেয়েছেন জাতিসংঘের বিচারক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো ১৯৯৫ সালের স্রেব্রেনিকার হত্যাযজ্ঞ। ৭০ বছর বয়সী কারাদিচ দেশটির সবচেয় বয়োজেষ্ঠ্য রাজনৈতিক নেতা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই মামলাটিকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কারাদিচ। তিনি বলেন, এই হত্যাযজ্ঞ নির্দিষ্ট ব্যক্তি চালিয়েছে। তার নির্দেশে কোনো বাহিনী চালায়নি। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে এই মামলা চলে। দুইটি মামলার প্রথমটিতে তাকে দোষী পাওয়া যায়নি। কিন্তু পরবর্তী মামলায় গণহত্যার দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। বসনিয়ার সেই হত্যাযজ্ঞে প্রায় এক লাখ মানুষ মারা যায়। যার নির্দেশে এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় সেই জেনারেল রাতকো ম্লাদিকও বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন।