চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেফালীর পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফারুক হোসেন জোয়ার্দ্দারের সংবাদ সম্মেলনের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শেফালী খাতুন। গতকাল বুধবার বিকেলে নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার তার নির্বাচনী প্রচারাণায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২১ মার্চ কবিখালী গ্রামের গণসংযোগকালে গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দারের ঘনিষ্ঠ সহচর ওই গ্রামের রমজান আলীর ছেলে একাধিক মামলার ফেরারি আসামি ইমান আলী আমার নির্বাচনী প্রচারণা বানচাল করা চেষ্টা করেন। উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা তাকে ধাওয়া করলে সে পালিয়ে যায়। ফারুক জোয়ার্দ্দার নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আসছে। তার প্রলোভন গ্রহণ করা না হলে মিথ্যা মামলাসহ হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। তার হুমকিতে আমার সাধারণ ভোটাররা ভীতিকর অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। কারণ তার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করাসহ বিনা বিচারে হত্যার করার পূর্ব অভিজ্ঞা রয়েছে। ফারুক জোয়ার্দ্দার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকায় তার হুংকার ও ধমকে এলাকার সাধারণ জনগণ ভয়পায়। তার সাথে যারা সহচর হিসেবে আছে তারা সবাই গ্রেফতারী পরোয়ানা ভক্ত আসামি। এলাকায় ফারুক বাহীনি নামে পরিচিতি লাভ করেছে। ফারুক বাহীনির সেকেন্ড ইন কমাণ্ড সরিষাডাঙ্গার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মো. খালেক, একই গ্রামের আজিত ব্যাপারীর ছেলে হারুণ, মৃত ঠাণ্ডুর ছেলে জসিম আলী, রানা, কবিখালী গ্রামের রমজান আলীর ছেলে ইমান আলী, একই গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের ছেলে সোহেল, বারেক সর্দ্দারের ছেলে হাকিমসহ শতাধিক ক্যাডার রয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা বাড়ি বাড়ি মদের ডিপো তৈরি করেছে যা প্রশাসন অনুসন্ধান করলে প্রমাণ মিলবে। এছাড়া গত ১৪ বছরে একক নেতৃত্বের বদৌলতে ইউনিয়ন পরিষদকে মডেল বায়াজী খানায় পরিণত করেছে যার নারী সরবরাহকারী হিসেবে রয়েছে কাথুলীর ইমান বাঙ্গালী ও হুমায়ূন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের অধীনে ফারুক জোয়ার্দ্দার তার নিজের রক্ষিতাদের একটি করে বাড়ি উপহার দিয়েছে। তিনি আরও বলেন সাংবাদিক সদরুল নিপুলকে তার ইশারায় হত্যা করা হয়েছে। তার কারুর অজানা নয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান নান্নু, সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন, মোমিনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কাসেম, সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান মিলন, ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি মসলেম মণ্ডল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক টিপু সুলতান লিটন, যুবলীগ নেতা ক্যাপ্টেন। বক্তরা বলেন, চেয়ারম্যান ফারুক জোয়ার্দ্দার বহিরাগত সন্ত্রাসিদের নিয়ে এসে সাধারণ ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। সাংবাদিক সদরুল নিপুলকে হত্যা করে তার দল ত্যাগকারী নির্দোশ ব্যক্তিকে হত্যা মামলার আসামি করে মিথ্যা হয়রানি করে আসছে।